হুগলি: আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই রথযাত্রার উদযাপনে মেতে উঠবে আপামর বাঙালি। জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে হুগলির শ্রীরামপুরের মাহেশে।(Rathayatra )বুধবার সেখানকার জগন্নাথ মন্দিরের উন্নয়ন ও সংস্কারের বিষয়ে ফোন করে খোঁজ নিলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্দিরের সম্পাদক পিয়ালকৃষ্ণ অধিকারীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।
Read More: শীঘ্রই বাংলায় চালু করতে হবে ১০০ দিনের কাজ, কেন্দ্রকে স্পষ্ট নির্দেশ হাইকোর্টের
স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে খোঁজখবর নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত পিয়ালকৃষ্ণ অধিকারী। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নিতে ফোন করেছিলেন। তাঁকে রথযাত্রা(Rathayatra )ও গোপাল উৎসবের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, আগে রথযাত্রা উৎসবে মাহেশে এসেছিলেন ও রথের রশিতেও টান দিয়েছেন। কিন্তু এবার তাঁর নানা কর্মসূচি রয়েছে। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে ফোন করে সব খবর নিচ্ছেন। আমি আপ্লুত।”
বরাবরই বিখ্যাত হুগলির শ্রীরামপুরের মাহেশের রথযাত্রা। প্রতিবছর এখানে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়। জগন্নাথ মন্দিরকে কেন্দ্র করে পর্যটন মানচিত্রে তাৎপর্যপূর্ণ জায়গা করে নিয়েছে মাহেশ। গত সপ্তাহে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রায় হাজার হাজার ভক্তরা ভিড় জমিয়েছিলেন। আগামী ২৭ তারিখ রথযাত্রা। চলছে তোড়জোড়। রথ সাজানোর কাজও চলছে জোরকদমে। একদা মাহেশের জগন্নাথদেবের মন্দির সংস্কার করা হয় রাজ্য সরকারেরই উদ্যোগে।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1935345840689660361?s=19
পিয়ালকৃষ্ণ অধিকারী বলেন, সিংহদুয়ার সংস্কার, এছাড়া একটি অতিথিশালা তৈরি, মন্দিরের দিক নির্দেশের বিশেষ ব্যবস্থা, প্রভু জগন্নাথদেবের স্নানপিড়ি আরও বড় করার প্রয়োজন। সেই কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, সব কিছুই হবে। প্রকল্প আকারে বিষয়গুলি জমা দিতে বলা হয়েছে। সেসব বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাবেন বলেও জানিয়েছেন পিয়ালকৃষ্ণ। বিদ্যুৎ খরচ বাঁচাতে সৌরশক্তির ব্যবস্থার জন্যও ইতিমধ্যেই হুগলি জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে শ্রীরামপুর পুরসভার পুরপারিষদ সন্তোষ সিং জানান, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সব সময় উন্নয়নের কাজ করে চলেছেন। আর মাহেশ জগন্নাথ দেবের মন্দির ও শ্রীরামপুরকে ঢেলে সাজিয়েছেন। আর শ্রীরামপুর আগামী দিনে পর্যটন মানচিত্রে আরও বড় জায়গা করে নেবে। শ্রীরামপুর নিয়ে আরও অনেক বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে, যেটা আগামী দিনে বাস্তবায়িত হবে।” এদিন নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শন করেছেন হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য, পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।