তেহরান: ইরান-ইজরায়েল সংঘাত যত দিন যাচ্ছে আরও তীব্র হচ্ছে। এবার তেহরানে হামলা আরও জোরাল করল ইজরায়েল।(Israeli Attack) এই ঘাত প্রত্যাঘাতের চক্করে প্রাণ হারাচ্ছেন ইরান ও ইজরায়েল দুই দেশের অসংখ্য নাগরিক। মার্কিন মানবাধিকার কমিশনের দাবি অনুযায়ী, লাগাতার হামলার জেরে এখনও পর্যন্ত ইরানে মৃত্যু হয়েছে ৫৮৫ জনের। এহেন পরিস্থিতিতে তেহরান ছেড়ে পালাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
Read More: মোসাদের সদর দফতরে মিসাইল হামলা ইরানের! ধৃত ২৮ ইজরায়েলি গুপ্তচর
জানা যাচ্ছে, ইজরায়েলের রাজধানী তেল আভিভকে নিশানা করেছে ইরান। যদিও ইরানের হামলায় সেখানে খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে তেহরানে ইজরায়েলের হামলায়(Israeli Attack) বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর আসতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে সেখানে বসবাসকারী স্থানীয় ও বিদেশিরা তেহরান ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন। পেট্রোল পাম্পগুলিতে দেখা গিয়েছে গাড়ির ভিড়।
ইজরায়েলের দাবি পরমাণু অস্ত্র তৈরি নিয়ে ইরান বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছিল। ইজরায়েল জানায়, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে গত শুক্রবার ইরানে প্রথম হামলা চালায় তারা। ইজরায়েলকে জবাব দিতে ব্যালেস্টিক মিসাইলের পাশাপাশি এবার সুপারসনিক মিসাইল ছুড়েছে ইরান। এই হামলার পরেই সোমবার ইরানের তরফে জানানো হয়, ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ইজরায়েলের হামলায়। অন্যান্য সময়ে মৃতের তথ্য সামনে আনে না ইরান। তবে এক্ষেত্রে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1934972177402540376
আবার, যুদ্ধের ষষ্ট দিনে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়েছে আমেরিকার মানবাধিকার কমিশনের তরফে। যেখানে জানানো হয়েছে, ইজরায়েলের হামলয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৫৮৫ জনের। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১৩২৬ জন। এদের মধ্যে, ২৩৯ জন সাধারণ নাগরিক ও ১২৬ জন নিরাপত্তাবাহিনীর জওয়ান।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানবাসীকে এলাকা ছাড়ার বার্তা দিয়েছিলেন। তারপরই আশঙ্কা করা হচ্ছিল বড় হামলা চলতে পারে এই শহরে।আগের সপ্তাহেত শুক্রবার ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালানো হয় ইজরায়েলের তরফে। এই হামলার জেরে মৃত্যু হয়েছে ইরান সেনার চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি, রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামি, ইরানের এমার্জেন্সি কমান্ডের কমান্ডার এবং দুই শীর্ষ সেনা আধিকারিকের। পাশাপাশি ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকে নিখুঁত পরিকল্পনায় হত্যা করে ইজরায়েল। এই হামলার পরে আবার মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।