প্রতিবেদন: ২১ বছরের রাজের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ২৪ বছরের সোনম। কিন্তু পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। জোর করে রাজার সঙ্গে তাঁর বিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।(Meghalaya Case) আততায়ীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল সোনম রঘুবংশীকে রাজার কাছ থেকে সরানো। সেই উদ্দেশ্যেই ২টি পরিকল্পনার ছক কষেছিল তারা। কিন্তু তা বাস্তবায়িত না করা গেলে রাজাকে খুনের ছক কষা হয়৷
Read More: দিঘায় এক কিমি রাস্তাজুড়ে রথের রশি, দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর
মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, এই সমস্ত ছকের ‘মাস্টারমাইন্ড’ সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা। ধৃত পাঁচ জনকে প্রাথমিক ভাবে জেরার পর এই তথ্য সামনে এসেছে। মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পাহাড়ের এসপি সিয়েম বিবেক বলেছেন, ‘‘রাজা এবং সোনমের বিয়ের ঠিক আগে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলেন রাজ কুশওয়াহা। তাঁকে সোনম সাহায্য করেছিল মাত্র। বাকি তিন আততায়ী রাজেরই বন্ধু, এক জন তাঁর তুতো ভাই।’’

তিনি আরও বলেছেন, ‘‘সোনমকে কী ভাবে গায়েব করা যায়, সেই পরিকল্পনা চলছিল ফেব্রুয়ারি থেকে।(Meghalaya Case) দু’টি ছক কষা হয়েছিল। প্রথম, সোনম নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে, এমনটা দেখানো হবে এবং পরে তাকে উদ্ধার করে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। দ্বিতীয়ত, অন্য কাউকে খুন করে তার দেহ সোনমের বলে চালিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এই দু’টি পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। তার পর রাজাকে খুনের পরিকল্পনা করে সোনমরা। বিয়ের ১১ দিন আগে এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল।’’
এসপি বিবেক জানিয়েছেন, তিন বন্ধুকে খুনের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে দিয়েছিল রাজ। মেঘালয়ে রাজাকে খুনের পর সোনমকে বোরখা পরিয়ে একটি ট্যাক্সিতে তারা পাঠিয়ে দেয় গুয়াহাটিতে। সেখান থেকে বাসে করে সোনম শিলিগুড়ি আসে। শিলিগুড়ি থেকে পাটনা হয়ে বাসে যায় আরা। সেখান থেকে ট্রেনে লখনউ পৌঁছোয়। সেখান থেকে বাসে আবার যায় ইন্দোরে। তারা ভেবেছিল, সোনমকে কেউ খুঁজে পাবে না। ২ জুন মেঘালয়ে যখন রাজার মৃতদেহ উদ্ধার হয়, তখনও সোনম ইন্দোরেই ছিল। কিন্তু রাজের ৩ বন্ধুই ধরা পড়ে যায়। রাজ ফোন করে সোনমকে জানায়, উত্তরপ্রদেশে গিয়ে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে এবং তাদের বলতে হবে তাকে অপহরণ করা হয়েছিল। তবে অপহরণের গল্প সঠিক ভাবে বলতে পারেনি সোনম। সে আত্মসমর্পণ করে।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1933430549059911886
উল্লেখ্য, বিয়ের পর স্বামীকে সোনম বলেছিলেন, অসমের কামাখ্যা মন্দিরে গিয়ে পুজো দেওয়ার পরেই এই বিয়েকে সে স্বীকৃতি দেবে। সেই অনুযায়ী নবদম্পতি প্রথমে গুয়াহাটি যায়। সেখানেই রাজাকে খুনের প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে সোনম শিলঙে নিয়ে আসে রাজাকে। তবে, বর্তমানে জেরায় সোনম-সহ ধৃত পাঁচজনই খুনের কথা এবং চক্রান্তের কথা স্বীকার করে নিয়েছে বলে দাবি করেছে মেঘালয় পুলিশ।