আহমেদাবাদ : আহমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা। তবে এখনও হদিশ মেলেনি দুর্ঘটনাগ্রস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ বিমানের ‘ব্ল্যাক বক্স’-এর।(Black Box) এমনই জানাল এয়ার ইন্ডিয়া। বিমানে সচরাচর দুটি করে ব্ল্যাক বক্স থাকে। একটি সামনের দিকে, একটি পিছনের দিকে। দুটির একটিরও সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফলত দুর্ঘটনার আসল কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
Read More: আহমেদাবাদের দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানে ভারতীয়ই বেশি, যাত্রীদের তালিকা প্রকাশ এয়ার ইন্ডিয়ার
সমস্ত প্লেনেই দু’রকমের ব্ল্যাক বক্স(Black Box) রাখা থাকে।একটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর)। অপরটি ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর)। কোনও দুর্ঘটনা হলে এই দুই রেকর্ডিং থেকে কী ঘটেছিল সেটার একটা ছবি ভেসে ওঠে তদন্তকারীদের সামনে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ড থেকে পাওয়া যায় অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের হিসেব, বিমানের অভিমুখ, গতি, এমন মোট ৮০ রকমের তথ্য পাওয়া যায়।
কী এই ‘ব্ল্যাক বক্স’? সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, এই বক্স আসলে দু’টি কমলা রঙের মেটালিক বাক্স। যার মধ্যে থাকে রেকর্ডার। ১৯৫০ সাল থেকে এই বক্স ব্যবহার করা চালু হয়। তার আগে কোনও বিমান দুর্ঘটনার মুখোমুখি হলে ঠিক কী কারণে বিপদ হয়েছিল, তা বোঝা সম্ভব হত না তদন্তকারীদের পক্ষে। দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে বিমানে কী হয়েছিল তাও জানা সম্ভব ছিল না। তাই এই ‘ব্ল্যাক বক্স’ ব্যবস্থা রাখা হয় বিমানে। প্রথমে মেটালিক স্ট্রিপে রেকর্ড হত বিমানের ভিতরের সব ঘটনা। পরবর্তীতে উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ‘ব্ল্যাক বক্স’-এ রাখা হয় মেমরি চিপ ও ম্যাগনেটিক ড্রাইভ।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1933464561581240525