নয়াদিল্লি : এবার দেশের সীমান্ত অঞ্চলগুলির সুরক্ষা(Border Security)আরও মজবুত করতে যৌথভাবে কাজের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র ও রাজ্য। স্থল সীমান্তে কাঁটাতার এবং জল সীমান্তে ভাসমান আউটপোস্ট করে নিরাপত্তা নিখুঁত করা হবে। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের মধ্যেই রাজ্যের শীর্ষ প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন। যুদ্ধের আবহ কাটলেও বাংলার মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Read More: পাকিস্তানের আবেদনে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা কেন! অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে নিশানা পিকের
এদিন মিলনমেলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, ডিজি-সহ রাজ্যের শীর্ষকর্তারা।(Border Security)যেহেতু বাংলার সঙ্গে তিন দেশ বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের বিস্তীর্ণ সীমান্ত রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের অবস্থানগত গুরুত্ব অনেকটাই বেশি। সূত্রের খবর, এদিন আন্তর্জাতিক সুরক্ষার বিষয় নিয়েই দীর্ঘ আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। কীভাবে রাজ্যের সহযোগিতায় সীমান্ত এলাকার সুরক্ষা আরও নিশ্চিত করা যায়, তা নিয়ে কথা হয়।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1929464750758326342?s=19
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ কাঁটাতারের সীমান্ত রয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় কাঁটাতার দেওয়া সম্ভব হয়নি ভৌগোলিক কারণে। কোথাও জমি-জটে আটকে রয়েছে তৃ। এইসব সমস্যাগুলি দ্রুত কাটিয়ে ফেলা কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা হয়। শুধু স্থলভাগই নয়, জল সীমান্তও কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যাবে, তার পরিকল্পনাও করা হয়। নদীর উপর ভাসমান আউটপোস্ট তৈরির নীল নকশা তৈরি করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্য পুলিশও এ নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করবে। সেই মতো জল সীমান্তেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে। পাশাপাশি, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা কার্যকর করা নিয়েও এদিন আলোচনা হয়। নিচুতলার কর্মীরা ভারতীয় ন্যায় সংহিতার বিভিন্ন ধারা সম্পর্কে যেন সচেতন থাকেন, তার জন্য রাজ্যকে দেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণের প্রস্তাবও।