নয়াদিল্লি : ভারত-পাক সংঘাতের আবহে ইতিমধ্যেই সংসদের বিশেষ অধিবেশনের(Special Session) দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পিছনে কি গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল? হামলাকারীরা এই মুহূর্তে কোথায় কী অবস্থায় রয়েছে? তাদের ধরতে কী কী পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র? এসব প্রশ্নের জবাব চেয়েছেন তাঁরা। কেন সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এই অধিবেশন প্রয়োজন, বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তার ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার উপ দলনেতা কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাগরিকা ঘোষ। আর তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পূর্বতন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকারের তুলনাও টানলেন তাঁরা।
Read More: ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে’! বাবাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ‘পাক গুপ্তচর’ জ্যোতির
বর্তমানে ‘সন্ত্রাসী’ পাকিস্তানের মুখোশ খুলতে বিদেশে গিয়েছে সংসদীয় প্রতিনিধি দল। তাঁরা ফিরলেই বিশেষ অধিবেশন(Special Session) চাইছে ঘাসফুল শিবির। এদিন সকালে দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন দুই তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও সাগরিকা ঘোষ। কাকলি জানান, ”পহেলগাঁও হামলা ও অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী সময়ে ধারাবাহিকভাবে সরকারের সমস্ত সিদ্ধান্ত, পদক্ষেপ দেশবাসীর জানা উচিত বলে মনে করি আমরা। আমাদের নেত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বার্তা দিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের যে কোনও সিদ্ধান্তের পাশে রয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস।”

পাশাপাশি, তাঁর ব্যাখ্যা, “ভারতের ঐক্য বোঝাতে কেন্দ্রের সংসদীয় প্রতিনিধি দলের বিদেশ সফর। আর দেশের অন্দরেও সেই ঐক্যের বার্তা দেওয়া অবশ্যম্ভাবী। আর তার জন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন সেই কাজ করতে পারে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় ইন্দিরা গান্ধী এবং তার পরবর্তীতে, ২০০১ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী সরকার এভাবেই বিশেষ অধিবেশন ডেকেছিল। এবারও মোদি সরকারের কাছে সেই আবেদন জানাচ্ছে তৃণমূল। তবে জুলাইয়ে বাদল অধিবেশনে সময় নয়, তার আগে বিদেশ থেকে প্রতিনিধি দল ফিরলে জুন মাসেই বিশেষ অধিবেশন চাইছি আমরা।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1927705710793511263
এবিষয়ে রাজ্যসভার উপ দলনেতা সাগরিকা ঘোষের বক্তব্য, ”পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠীর পহেলগাঁও হামলা শুধু ভারতে নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় যে সন্ত্রাসবাদের শিকড় ছড়িয়ে পড়েছে, তা স্পষ্ট। আমরা নিজেরা গিয়ে কাশ্মীরের রাজৌরি, পুঞ্চের পরিস্থিতি দেখেছি। কী যে ভয়াবহ অবস্থা! আমাদের দল বারবার জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের যে কোনও সিদ্ধান্তের পাশে রয়েছি। বিদেশের প্রতিনিধি দলে আমরা অন্য কাউকে নয়, আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠিয়েছি। তিনি নানা দেশ ঘুরে ভারতের একতার ছবিটা তুলে ধরছেন। তাঁরা ফিরলেই আমরা বিশেষ অধিবেশন চাই, যেখানে রাজনৈতিক দলমত নির্বিশেষে সকলে এক সুরে কথা বলবেন।” অর্থাৎ, বিশেষ অধিবেশনের জন্য কেন্দ্রের উপর যে আরও চাপ বাড়াল তৃণমূল, তা কার্যত স্পষ্ট।