কলকাতা : এবার গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদগুলিকে কড়া বার্তা দিল নবান্ন।(Nabanna )সাফ জানিয়ে দিল, ইচ্ছামতো আর চাপানো যাবে না কর। সম্প্রতি একাধিক ঘটনা প্রশাসনের নজরে এসেছে, যেখানে দেখা গিয়েছে পঞ্চায়েতের বিভিন্ন স্তরে নতুন করে কর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের উপর। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের শীর্ষস্তরের কাছে উষ্মা প্রকাশও করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
Read More: দেশজুড়ে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা! রাজধানীতে জারি নির্দেশিকা
মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকদের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানিয়ে দিয়েছেন, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতকে কোনও কর বা ফি ধার্য করতে হলে রাজ্যের অর্থদফতর বা পঞ্চায়েত দফতর থেকে অনুমতি নিতে হবে। জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত, তিনটি স্তরেই হাতে লেখা রসিদ বন্ধ করে ‘ইউনিফায়েড অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার’-এর সাহায্যে ‘সহজ সরল’ নামে একটি পোর্টাল চালু করা হয়েছে। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, তিনটি স্তরে প্রচুর পরিমাণে টাকার লেনদেন হয় এখানে। জমি, বাড়ি, স্থাবর সম্পত্তি, নদীর ঘাট, মাঠ এবং দরপত্র সংক্রান্ত বহু অর্থ জমা পড়ে জেলাস্তরে। উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজের সঙ্গে সমাজ কল্যাণমূলক কাজেও অর্থ ব্যয় করতে হয় পঞ্চায়েতগুলিকে। এই সমস্ত কাজ হবে পোর্টালের মাধ্যমেই।

পাশাপাশি নবান্ন(Nabanna )সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতে কর ধার্য করা বা তার প্রয়োগ সম্পর্কে কয়েক বছর আগেই সুস্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য। সেই গাইডলাইন মেনেই কর নেওয়া হয়। কিন্তু একাধিক জেলা থেকে পঞ্চায়েতের কর নিয়ে নবান্নে অভিযোগ আসে। জেলাশাসকদের মুখ্যসচিব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারের ঠিক করে দেওয়া গাইডলাইন পুরোপুরি মেনে চলা হচ্ছে কি না তা নজরে রাখতে হবে। বিডিওরাও এই বিষয়ে আলাদা করে নজর রাখবেন। কোনওভাবেই তার অন্যথা করতে পারবে না কোনও গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদ। ফের এ ধরনের কোনও অভিযোগ এলে কঠোর ব্যবস্থার পথই অনুসরণ করবে রাজ্য।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1926185823856189882?s=19