নয়াদিল্লি: সম্প্রতি পাকিস্তানের গুপ্তচরবৃত্তি করায় ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে(Jyoti Malhotra) গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপরেই জ্যোতির সমস্ত গতিবিধির উপর তদন্ত চালাতে শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। তদন্ত এগোতেই একের পর এল চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনছেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের দাবি, জ্যোতির পাক-আফগান সীমান্তে যোগাযোগের তথ্যও পাওয়া গিয়েছে।
Read More: বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে বিঁধে রাজ্যবাসীকে সম্প্রীতির বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
সূত্রের খবর, হরিয়ানা পুলিশ, আইবি এবং এনআইএ মিলে জ্যোতিকে(Jyoti Malhotra) জেরা করছে। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে নানারকম উত্তর দিচ্ছেন ইউটিউবার। এর মধ্যেই পাক-আফগান সীমান্তেও যোগাযোগের তথ্য মিলেছে জ্যোতির। কার্যত, পাক-আফগান সীমান্তকে ‘জঙ্গিদের ডেরা’ বলে দাবি করা হয়। ওই অঞ্চলে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। কিন্তু ওই এলাকায় কীভাবে জ্যোতি প্রবেশ করলেন, কাদের মদতে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে খবর, পাক হাই কমিশনের আধিকারিক এহসান দার ওরফে দানিশের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন জ্যোতি। পাক হাই কমিশনের এই আধিকারিককেই গত ১৩ মে দু’দেশের সামরিক অস্থিরতার সময়ে বহিষ্কার করেছিল ভারত। সূত্রের খবর, জ্যোতির মোবাইল পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে, দানিশের সঙ্গে তার কয়েকটি কথোপকথন মুছে দেওয়া হয়েছে। আর এটা থেকেই তদন্তকারীদের ধারণা, ওই কথোপকথনে পাক এজেন্টকে কী তথ্য পাঠানো হয়েছিল, ওই মেসেজ উদ্ধার করলে আসল রহস্য উদঘাটন সম্ভবপর হবে।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1924820033894785503
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের পাশাপাশি চিন এবং বাংলাদেশেও জ্যোতির সফর তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায়। সূত্রের খবর, প্রথম বার ২০২৩ সালের এপ্রিলে ৩২৪তম বৈশাখী উৎসবে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন জ্যোতি। তার পর ২০২৪ সালে এবং এ বছরের মার্চে আবার পাকিস্তানে যান তিনি। ২০২৪ সালে পাকিস্তানে গিয়ে ২০ দিন থেকেও ছিলেন জ্যোতি। তার পর সেখান থেকে ভারতে ফিরে ওই বছরেই চিনে যান হরিয়ানার ইউটিউবার।
প্রসঙ্গত, হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রাকে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশের পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত করছে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) এবং জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।