শিলিগুড়ি : কেটে গিয়েছে বছরের পর বছর। তবুও বাংলার প্রতি মোদী সরকারের দুয়োরানিসুলভ আচরণ রয়ে গিয়েছে সেই একইরকমই। অব্যাহত কেন্দ্রীয় বঞ্চনা। রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্র। আর সেগুলি নিজের খরচে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গ সাক্ষী থেকেছে প্রভূত উন্নয়নের।(North Bengal Development) মঙ্গলবার শিলিগুড়ির ডাবগ্রামে দাঁড়িয়ে নিজেই তার হিসাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিরোধীদের অপপ্রচারের স্পষ্ট জবাব দিয়ে বললেন, “ওরা দেখতে পায় না।”
Read More: ‘জঙ্গিদের ডেরা’ পাক-আফগান সীমান্তে প্রবেশ ইউটিউবার জ্যোতির! তদন্তকারীদের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য
কয়েক বছর ধরে আটকে রয়েছে রাজ্যের বরাদ্দ টাকা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আবাস যোজনা, একশো দিনের প্রকল্প-সহ বেশ কয়েকটি খাতে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুলেছে রাজ্য। এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বিভিন্ন প্রকল্প বাবদ ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা রাজ্য কেন্দ্রের থেকে পাবে। সেই প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলার বাড়ি প্রকল্প, একশো দিনের কাজের টাকা নিজের ভাঁড়ার থেকেই খরচ করেছে রাজ্য।
এদিন বিরোধীদের একহাত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যাঁরা চোখে উন্নয়ন(North Bengal Development) দেখতে পান না তাঁরা পিঠে কুলো, কানে তুলো আর চোখে ঠুলো পরে আছেন। কাগজে লেখার জায়গা আছে তো? পর্যটনে বাংলা শ্রেষ্ঠ জায়গা। প্রায় ২ লক্ষ মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা তুলে দিচ্ছে। যাঁরা মাটির মানুষ তাঁদের সম্মান করুন। যে মেধা মাটি থেকে তৈরি হয়ে ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পড়ে সেটাই আসল মেধা। যাঁরা মাটি থেকে উঠে আসেন তাঁদের আমি বেশি সম্মান করি। তাঁদের দিকে ফিরে দেখুন। মনটাকে মুক্ত করুন। বদ্ধ করবেন না।”
মমতার কথায়, “আগে ১২ লক্ষ, এখন ১৬ লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ি বানানোর টাকা দেওয়া হল। ২৮ লক্ষ মানুষ উপকৃত হলেন। ১৪,৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। আরও ১৬ লক্ষ যোগ্য পরিবারকেও আমরা বাড়ি করে দেব।” জিএসটি থেকে প্রাপ্ত টাকাও কেন্দ্র আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “জিএসটি কেন্দ্র সরকার সংগ্রহ করে, আমরা সাহায্য করি। সেই টাকাটাও আমরা ঠিকঠাক পাই না।” শিল্পপতিদের উপর কেন্দ্রের কর চাপানোর সিদ্ধান্তের বিরোধিতাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1924821802318262454
পাশাপাশি তিনি জানান, রাজ্য সরকার ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পের আওতায় ১ লক্ষেরও বেশি আলুচাষীকে সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫৮ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। চলতি রবি মরসুমে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যেসব কৃষকের আলু চাষে ক্ষতি হয়েছিল, তাঁদের এই সহায়তা করা হচ্ছে। এদিনের সভা থেকেও একাধিক প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে রাজ্য। ৯ কোটির বেশি ব্যয়ে বীরপাড়ায় হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। ‘চা সুন্দরী’ প্রকল্পে মাদারিহাটে চা শ্রমিকদের জন্য ২৯৮টি বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। মাদারিহাটে সেতু তৈরিতে ২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে একাধিক প্রকল্পে।