নয়াদিল্লি : পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাতস্বরূপ ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ গুঁড়িয়ে যায় একের পর এক পাক জঙ্গিঘাঁটি। এর শোধ তুলতে ভারতে হামলার চেষ্টা করেছিল পাক সেনা। রাজধানী দিল্লিতে বড়সড় আঘাত হানতে পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ‘শাহিন’ ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়েছিল তারা। যা প্রতিহত করে ভারতীয় সেনার দুর্ভেদ্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।(Akash Tir) সূত্রের খবর, এমনটাই জানানো হয়েছে সেনাবাহিনীর তরফে। পাশাপাশি এই বার্তাও দেওয়া হয়েছে যে, পাকিস্তান বা অন্য কোনও দেশ যতই আণবিক অস্ত্রের আস্ফালন দেখাক, মুহূর্তের মধ্যে তা রুখে দেওয়ার ক্ষমতা ধারণ করে ভারত।
Read More: গোয়েন্দাদের নজরে কি বাংলার ভ্লগারও! জ্যোতির পাক গুপ্তচরবৃত্তিতে হতবাক বন্ধু সৌমিত
গত ৭ মে’র রাতে ভারতের সীমান্তবর্তী ১৫টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল পাক সেনা। যা রুখে দেয় রাশিয়ার এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘আকাশ তির’ মিসাইল সিস্টেম।(Akash Tir) এক রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতীয় সেনা ভিডিও প্রকাশ করে জানিয়েছে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পাকিস্তান নাকি শাহিন সিরিজের ব্যালিস্টিক মিসাইল, চিনের এ-১০০, ফাতেহ ১,২-সহ অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল। এই শাহিন মিসাইলের টার্গেট ছিল দিল্লির একটি জায়গা। যা রুখে দেয়ে ভারতের দুর্ভেদ্য প্রতিরক্ষা-প্রাচীর।

ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, পাক ফৌজের সমস্ত হামলাই ভারতের শক্তিশালী ও আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিহত করেছে। শুধু শত্রুপক্ষের আক্রমণ আটকানোই নয়, কোথায়, কখন আঘাত হানতে হবে, গোয়েন্দা তথ্য সুরক্ষিত রাখতে হবে, এটাই ভারতের প্রধান কৌশল। তবে যুদ্ধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাক সেনার এই পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম শাহিনের ব্যবহার বড় বার্তা। এটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল। যা ২ হাজার ৭৫০ কিমি পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। ২০১৫ সালের ৯ মার্চ পাকিস্তান প্রথম এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছিল। পাক সেনার কাছে আপাতত সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এটিই।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1924473367911936357?s=19
পাশাপাশি, বিশ্লেষকদের মতে, এই অস্ত্রের ব্যবহার করে পাকিস্তান বুঝিয়ে দিয়েছে, তাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত হানলে, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে তারা পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগে পিছু হটবে না। কিন্তু অপারেশন সিঁদুরের পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, পরমাণু হামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে ভারতকে ভয় দেখানো যাবে না। এরকম কিছু হলে ভারতীয় সেনা তার যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত। সমস্ত আঘাত প্রতিহত করে পালটা আঘাত হানতে তৈরি ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।