নয়াদিল্লি: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা নিয়ে সারা দেশ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এই হামলার ১৫ দিনের মাথায় প্রত্যাঘাত ভারতের। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মাটিতে মোট নয় জায়গায় আক্রমণ করেছে ভারত।(Operation Sindoor) ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রভাবিত এলাকাগুলি। গোয়েন্দাসূত্রে জানা গিয়েছে, কোথায় কোথায় কোন বাহিনী আক্রমণ শানাবে ত ঠিক করে দিয়েছিল ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’।
Read More: ‘জয় হিন্দ’, পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে ট্যুইট মমতার
ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর বেছে দেওয়া জায়গা মতোই আক্রমণ চালায় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের বাহওয়ালপুরের উপকণ্ঠে এনএইচ-৫ যেখান দিয়ে গিয়েছে, সেখানে প্রায় ১৫ একর জমি জুড়ে জৈশ-ই-মহম্মদের প্রধান প্রশিক্ষণ এবং প্রচারকেন্দ্র এটাই জৈশের হেডকোয়ার্টার বলে পরিচিত। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় যুক্ত ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘাঁটিকে চিহ্নিত করে ‘র’। সেইমতোই আক্রমণ করেছে ভারত।

আবার, পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শহর মুরিদকে হল লশকর-এ-তৈইবার ঘাঁটি। ২০০৮ সালে মুম্বই হামলায় মূলচক্রী হাফিজ় সইদ এই মুরিদকেতে থাকত। মঙ্গলবার রাতে সেখানেও হানা দিয়েছে ভারতীয় সেনা। হামলায় ব্যবহার করা হয় স্ক্যাল্প এবং হ্যামার মিসাইলের মতো বিশেষ গোলাবারুদ।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯টি জায়গায় ভারতীয় সেনা প্রত্যাঘাত করেছে, তার ৪টি জায়গা পাকিস্তানে এবং ৫টি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে।(Operation Sindoor) বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে এবং সিয়ালকোট, মূলত এই তিন জায়গাই ছিল লক্ষ্যবস্তু। এ ছাড়া রয়েছে, মুজফ্ফরাবাদ, গুলপুর, ভীমবের, চাক আমরু, বাগ এবং কোটলি।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1920022376332591157
আরও জানা গিয়েছে, প্রচুর প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বিভিন্ন সূত্র কাজে লাগিয়ে ৯টি জায়গা চিহ্নিত করেছিল ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা। সেই সমস্ত তথ্যই যায় সেনার কাছে। শুরু হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর তোড়জোড়। দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয় ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনাকে। তারপরেই মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালায় ভারতীয় সেনা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত ১টা ৪৪ মিনিটে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের পদক্ষেপ সুনির্দিষ্ট, পরিমিত এবং অপ্ররোচনামূলক। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি। লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ এবং আঘাত হানার প্রশ্নে ভারত উল্লেখযোগ্য সংযম দেখিয়েছে।”