প্রতিবেদন : বুধবারই মহাসমারোহে দ্বারোদঘাটন হয়েছে দিঘার নতুন জগন্নাথ মন্দিরের। আর উদ্বোধনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে নামল পুণ্যার্থীদের ঢল।(Pilgrims) হিসাব অনুযায়ী, বুধবার মন্দিরের দ্বার উন্মোচনের ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে সেখানে ভিড় জমিয়েছেন প্রায় ২ লক্ষ পুণ্যার্থী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেও লেগেই রয়েছে পুণ্যার্থী সমাগম।
Read More: মাধ্যমিকে উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছাবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
বর্তমানে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। এই সময়ের মধ্যে যে কেউ জগন্নাথদেবের দর্শন করতে পারবেন। মন্দিরের ভিতরে রয়েছে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। তাই পুজো দিতে বেশি সময় লাগছে না। অতিরিক্ত পুণ্যার্থী(Pilgrims) সমাগমের কথা মাথায় রেখে মন্দির চত্বরের নিরাপত্তাও যথেষ্ট মজবুত। তাই বিপদের কোনও আশঙ্কা নেই বলেই জানিয়েছেন ভক্তরা। মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, মন্দিরের গঠনশৈলী মন ছুঁয়ে গিয়েছে প্রত্যেকেরই। পুজো দিয়ে অত্যন্ত খুশি পুণ্যার্থীরা। মন্দিরকে ভরিয়ে দিয়েছেন ভূয়সী প্রশংসায়।
দিঘার এই নতুন জগন্নাথ মন্দির রাজস্থানের গোলাপি বেলেপাথর দিয়ে তৈরি। মন্দির নির্মাণের কাজে অন্তত ৮০০ কারিগর দিঘায় আসেন। তাঁরা সকলেই রাজস্থানের বাসিন্দা। মন্দিরের প্রধান দ্বার দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলেই প্রথমে পড়বে তিনটি দীপস্তম্ভ। পুরীর মতো দিঘার মূল মন্দিরে প্রবেশের জন্য রয়েছে চারটি দ্বার। একইভাবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের সিংহদ্বার বা মন্দিরের প্রবেশদ্বারের সামনে রয়েছে কালো রঙের অরুণ স্তম্ভ। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রবেশ দ্বারের সামনে কালো পাথরে তৈরি ৩৪ ফুট লম্বা ১৮ মুখী অরুণ স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে। আর এই স্তম্ভের মাথায় রয়েছে অরুণা মূর্তি। অরুণ স্তম্ভের সামনের সিংহদ্বারে ঢুকলেই পুরীর মতোই সোজাসুজি জগন্নাথের মূর্তি। পূর্ব দিকের মন্দিরের প্রধান প্রবেশদ্বার বা সিংহদ্বারের বিপরীতে ব্যাঘ্রদ্বার।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1918238237451231306
পাশাপাশি উত্তরে হস্তিদ্বার আর দক্ষিণে অশ্বদ্বার রয়েছে। দিঘার মন্দিরের প্রথমে রয়েছে ভোগ মণ্ডপ। ভোগ মণ্ডপের মোট চারটি দরজা। তারপরে রয়েছে ১৬টি স্তম্ভের উপরে নাটমন্দির। নাটমন্দিরের পরে চারটি স্তম্ভের উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে জগমোহন। জগমোহনের পরে গর্ভগৃহ বা মূল মন্দির। সেখানে সিংহাসনে থাকবে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি। ভোগ মণ্ডপ ও নাটমন্দিরের মাঝে রয়েছে গরুড় স্তম্ভ। নাটমন্দিরের দেওয়ালে কালো পাথরে তৈরি ছোট ছোট দশাবতার মূর্তি। মন্দিরের পাথরের দেওয়ালেও রয়েছে অসংখ্য কারুকাজ। জগন্নাথের ভোগ রান্নার জন্য আলাদা ভোগশালার ব্যবস্থা রয়েছে।