প্রতিবেদন : জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ’র(NIA) তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এনআইএ দাবি করল, পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার নেপথ্যে সরাসরি যুক্ত পাক সেনা ও আইএসআই! সূত্রের দাবি, এনআইএ এই হামলা নিয়ে যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করেছে, তাতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে লস্কর, পাক সেনা এবং পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের সম্মিলিত ষড়যন্ত্রের ছক।
Read More: উদ্বোধনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লাখো পুণ্যার্থীর ঢল দিঘার জগন্নাথধামে
ভূস্বর্গে হামলার পর অতিক্রান্ত হয়েছে ১০ দিন। অথচ এখনও অধরা জঙ্গিরা। এ পর্যন্ত কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি অভিযান ও ধরপাকড় চালিয়েও হামলার মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার বা নিকেশ করা যায়নি। গত রবিবার সরকারিভাবে এই হামলার তদন্তভার নিয়েছে এনআইএ।(NIA) তদন্তভার নেওয়ার পরই প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করছে তারা। সূত্রের দাবি, একাধিক বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে সেখানে।
জানা গিয়েছে, ২২ এপ্রিল দুপুরে বৈসরন ভ্যালি রিসর্টে হামলা চালায় চারজন। তার মধ্যে দু’জন পাকিস্তানি। বাকি দুজন কাশ্মীরের বাসিন্দা। চারজনের স্কেচও প্রকাশ করা হয়েছে। এদের পথপ্রদর্শক হিসাবে আদিল কঠোর নামের এক জঙ্গির নামও প্রকাশ করেছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি। এর বাইরে আর কারা যুক্ত সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই হামলার জন্য লস্করের সঙ্গে পাক সেনা এবং আইএসআই যে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে সেটার পোক্ত প্রমাণ রয়েছে। এনআইএ’র রিপোর্ট বলছে, এই হামলার নেপথ্যে অন্তত ২০ জন ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কার কাজ করেছে। এই ওভারগ্রাউন্ড ওয়ার্কাররা এখনও কাশ্মীরে সক্রিয়।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1918239724235571611
পাশাপাশি এনআইএ সূত্রের দাবি, হামলাকারী জঙ্গিরাও এখনও দক্ষিণ কাশ্মীরের জঙ্গলঘেরা এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে। শুধু হামলাকারীরা নয়, আরও বহু জঙ্গি ওই এলাকায় গা-ঢাকা দিয়ে আছে। তবে মূল হামলাকারীদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে তারা। মূলত হামলাকারীদের কভার ফায়ার দেওয়ার জন্য এলাকায় ঘাপটি মেরে রয়েছে অন্য জঙ্গিরা। আর মূল হামলাকারীরা দুর্গম জঙ্গলে লুকিয়ে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় রসদও রেখেছে নিজেদের সঙ্গে।