প্রতিবেদন : ‘দিদিকে বলো’য়(Didike Bolo) অভিযোগ জানানোর পরই মিলল মুক্তি। গুজরাটের সুরাটে কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশি সন্দেহে গুজরাট পুলিশের হাতে আটকে হয়েছিলেন বীরভূমের দুই ও পূর্ব বর্ধমানের এক যুবক। অতঃপর ‘দিদিকে বলো’য় নালিশ জানায় পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবার। এরপরই গত চার দিন ধরে আটক থাকার পর জেরা করায় কোনও আপত্তিজনক তথ্য না মেলায় মঙ্গলবার রাতে গুজরাট পুলিশ ছেড়ে দেয় তাঁদের।
Read More: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই তৎপরতা, বিধি না মানায় বন্ধ পার্ক স্ট্রিটের ৬টি রেস্তোরাঁ
জানা গিয়েছে, বীরভূমের লাভপুরের কুসুমগড়ীয়া গ্রামের দুই যুবক সুলতান মল্লিক ও শেখ আতাউর রহমান। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী থানার খরদত্তপাড়ার যুবক কামারুজামান মল্লিক গুজরাটের সুরাতে কাজে যান। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে কাপড়ের কারখানায় কাজ করে আসছেন তাঁরা। গত শনিবার ভোরে গুজরাট পুলিশ গিয়ে ঘর থেকে ৩ জনকে আটক করে নিয়ে যায়। গত ৪ দিন ধরে আটক থাকার পরেও গুজরাট পুলিশ থেকে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল।
আটকে পড়া শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা এরপর ‘দিদিকে বলো’য়(Didike Bolo) অভিযোগ জানান। শেখ রকিবুউদ্দিন ও শেখ সালাম বলেন, “হঠাৎই বাংলাদেশি সন্দেহে গুজরাট পুলিশ ওদের আটক করে। এরপরই কার্যত দিশা হারিয়ে ফেলি। ‘দিদিকে বলো’তে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাই। সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানোর চারদিন পর গুজরাট পুলিশ ওঁদের ছেড়ে দিয়েছে।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1918234646418268266
উল্লেখ্য, কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পরই দেশের পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নাগরিকদের চিহ্নিত করা নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বাংলাদেশি সন্দেহেই তিন যুবককে আটক করে গুজরাট পুলিশ, এমনই অভিযোগ ওঠে। চার দিন থেকে কোনও খোঁজ না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায় বীরভূমের লাভপুর ও পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী এলাকায়। বীরভূমের জেলার পুলিশ প্রশাসনের দাবি, প্রশাসনিকভাবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানোর পর অনেকেই ছাড়া পাচ্ছেন। খুব শীঘ্রই ছাড়া পাবেন বাকিরাও।