দিঘা: মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই দিঘায় উদ্বোধন হয়ে গেল জগন্নাথ মন্দির।(Jagannath Temple) সৈকতনগরী দিঘায় জগন্নাথধাম এখন নতুন সংযোজন। এবার এই নতুন পালকের সংযোজনে চাঙ্গা হল কোলাঘাটের ফুলের বাজার। ফলে উৎসাহিত জেলার ফুলচাষি থেকে শুরু করে ফুল ব্যবসায়ীরা।
চৈত্রে বিয়ের মরশুম না থাকায় এমনিতেই ফুলের চাহিদা কমেছিল। এমনই অবস্থা হচ্ছিল যে, চড়া দামের ফুলও রাস্তার পাশেই ফেলে দিতে হচ্ছিল ফুল চাষিদের। তবে বাংলা নববর্ষে ফুলের দর কিছুটা বাড়তে শুরু করে। এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘায় জগন্নাথ মন্দির(Jagannath Temple) উদ্বোধনের পরেই সেই ফুলের চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়েছে। একদিকে যেমন অক্ষয় তৃতীয়া, তেমনই অন্যদিকে দিঘার জগন্নাথদেবের আরাধনা ঘিরে আচমকা ব্যাপক ফুলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ফুলের দাম খানিকটা হলেও বেড়েছে বলে দাবি জেলার ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের।
Read More: কলকাতাকে টেক্কা জেলার! প্রকাশিত মাধ্যমিকের মেধাতালিকা, জানুন বিস্তারিত
জানা যাচ্ছে, ফুলের চাহিদা বাড়ায় বুধবার কোলাঘাট-দেউলিয়া-পাঁশকুড়া-সহ বিভিন্ন ফুলবাজারে এক ধাক্কায় রজনীগন্ধা-১৩০ টাকা কেজি, দোপাটি-৪০ টাকা কেজি, গাঁদা-৩৫ টাকা কেজি দরে দেদার ফুল বিক্রি হয়। সেইসঙ্গে প্রতিপিস পদ্ম-৫০ টাকা, বেল-৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি এবং গোলাপ-২ টাকা পিস দরে বিক্রি হয়েছে।
সারা বাংলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, “গ্রীষ্মের মরশুমে এমনিতেই ফুলের বেশি ফলন হয়ে থাকে। চৈত্র মাসে সেই অর্থে বিয়ের মরশুম-সহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের প্রাচুর্য না থাকায় ফুলের দাম একেবারে তলানিতে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন ও অক্ষয় তৃতীয়ার জোড়াফলার কারণে জেলার ফুল বাজারগুলিতে ফুলের বাজার ছিল অনেকটা চাঙ্গা।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1918222851167142094
আবার, পাঁশকুড়ার, দেউলিয়া, কোলাঘাটের ফুল চাষিরা জানিয়েছেন, চৈত্র মাসে ফুল বিক্রি করে ফুল তোলার খরচটুকুও ওঠেনি। বাংলা নববর্ষের পর খানিকটা দাম বাড়তে শুরু করেছিল। বর্তমানে ফুলের বাজার খানিকটা চড়া হয়েছে।