দিঘা : অবশেষে অপেক্ষায় ইতি। এল বহুপ্রতীক্ষিত সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। দিঘার নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের(Jagannath Temple)দ্বারোদঘাটন হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। দরজা ঠেলে তিনি ঢুকলেন মন্দিরের ভিতরে। দেখা গেল জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার বিগ্রহ। বিগ্রহের সামনে আরতিও করলেন মমতা। পাঁচ মিনিটের জন্য মন্দিরের দরজা সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল। দ্বার উন্মোচনের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা রাখলেন মমতা। উপস্থিত শিল্পী, পুরোহিতবৃন্দ, সন্ন্যাসী, তারকা এবং স্থানীয় মানুষকে ধন্যবাদ জানান। যাঁরা এই মন্দির তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, সেই সব স্থপতি এবং শ্রমিকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ২০ একর এলাকা জুড়ে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি করা হয়েছে। নবনির্মিত এই মন্দিরের পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে ইসকনের হাতে।
Read More: দিঘা থেকে কলকাতা রওনা মুখ্যমন্ত্রীর, সরাসরি পৌঁছতে পারেন বড়বাজারের দুর্ঘটনাস্থলে
এদিন নিমকাঠের তৈরি জগন্নাথ মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হয়েছে। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের অন্যতম প্রধান সেবায়েত রাজেশ দয়িতাপতির নেতৃত্বে পুরোহিতেরা প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। এর পর বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ পাথরের জগন্নাথে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন ইসকনের সেবায়েতরা। একই সঙ্গে রাধাকৃষ্ণের পাথরের মূর্তিতেও প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়। মমতার কথায়, ‘‘আমি মনে করি, এই মন্দির আগামী হাজার হাজার বছর ধরে তীর্থস্থান এবং পর্যটনস্থল হিসাবে উন্মাদনার প্লাবন তৈরি করবে। এই মন্দির সকলের জন্য। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়, সবারে করি আহ্বান।’’

মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এককথায় ‘চাঁদের হাট’। রয়েছেন তৃণমূলের একঝাঁক নেতা, সাংসদ, বিধায়ক। তৃণমূলের তারকা সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, টলিউডের নামী প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা, গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী, শিল্পপতি রুদ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখকেও দেখা গিয়েছে। রয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, দেব, জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, রূপঙ্কর বাগচি, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, শ্রীকান্ত মোহতা, লাভলি মৈত্র, দেবলীনা কুমার, ভিভান ঘোষ, দিগন্ত বাগচী-সহ বাংলা বিনোদন দুনিয়ার নানা পরিচিত মুখ।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1917554762435944770?s=19
এদিন মন্দিরের(Jagannath Temple)দ্বারোদঘাটন আগে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সঙ্গীত পরিবেশন করেন রাজারহাট গোপালপুরের বিধায়ক তথা সঙ্গীতশিল্পী অদিতি মুন্সি।
দর্শকাসনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সাংসদ অভিনেতা দেব, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। অদিতির পরে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দু’টি গান গাইলেন তিনি। দু’টি গানেরই গীতিকার, সুরকার স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। জিতের পরে মঞ্চে ওঠেন সঙ্গীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী। প্রথম গানটি গাওয়ার পর মমতার অনুরোধে আরও একটি গান গাইলেন তিনি। এর পর গান গাইতে মঞ্চে উঠলেন শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর লেখা দু’টি গান পরিবেশন করেন তিনিও। শ্রীরাধার পর একে একে মঞ্চে গান গাইতে ওঠেন রূপঙ্কর বাগচী এবং ইমন চক্রবর্তী। গান শেষে শুরু হয় নৃত্যানুষ্ঠান। নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের নাচের দল।