দিঘা: আর মাত্র কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা। বুধবার, অক্ষয় তৃতীয়ার পুণ্যলগ্নে হতে চলেছে দিঘার নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন।(Jagannath Temple)সোমবারই সৈকতশহরে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সেখানে চলছে বিশেষ যজ্ঞ। মহাযজ্ঞে সামিল হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ণাহুতি দিয়ে নিজের হাতেই আরতি করেছেন। জগন্নাথধাম নিয়ে প্রবল আশাবাদী স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তাঁদের মতে, মন্দির উদ্বোধনের পর ব্যবসা আরও বাড়বে। দরিদ্র মানুষজনের জন্য ভাবনাচিন্তা করেই মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ, এমনটাই মনে করছেন তাঁরা। সেই কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন চা-বিক্রেতা পরিমল জানা। তাঁর স্মৃতিচারণে ভেসে উঠল ৭ বছর আগেকার এক দিন।
Read More: দিঘায় জগন্নাথদেবের প্রাণপ্রতিষ্ঠার পূর্বেই মহাযজ্ঞে পূর্ণাহুতি দিলেন মমতা, উড়ল ধ্বজা
তখন ২০১৮ সাল। দিঘা গিয়ে হাঁটতে বেরিয়ে পরিমল জানার দোকানে ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দোকানে ঢুকে নিজে হাতে চা বানিয়েছিলেন। সকলকে সেই চা খাইয়েওছিলেন। প্রিয় ‘দিদি’কে কাছে পেয়ে সেদিন আবেগে ভেসেছিলেন পরিমলবাবু। বলেছিলেন, একটা স্থায়ী দোকান চাই। তাঁর কথা শুনেছিলেন মমতা। একটা পাকা দোকানঘর হয় পরিমলবাবুর। চায়ের পাশাপাশি নানা স্ন্যাকসও পাওয়া যায় এই দোকানে। বর্তমানে রমরমিয়ে চলছে ব্যবসা। পরিমলবাবুর দোকান ‘রাধারানী টি স্টলে’র সামনে এখন সাত বছর আগেকার সেই দিনটির একটা বড় ছবি বাঁধিয়ে রাখা। তাঁর বিশ্বাস, সেটাই পর্যটকদের টেনে আনে। এদিন তাঁর কথায় উঠে এল মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁর অপার কৃতজ্ঞতা। “উনি বাংলার মা, আমাদের মুখে অন্ন তুলে দিচ্ছেন”, বললেন তিনি।

পাশাপাশি, সংবাদমাধ্যমকে পরিমলবাবু জানিয়েছেন, ”এখানকার যত গরিব মানুষজন, তাঁদের ব্যবস্থা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নাহলে পরিবার-পরিজন নিয়ে কে কোথায় চলে যেত! উনি তো আমাদের জন্য ভেবেই এসব করেছেন। এই জগন্নাথ মন্দির(Jagannath Temple)হওয়ায় আমরা খুব খুশি। দিঘায় এতদিন যত পর্যটক আসতেন, এবার তার চেয়ে অনেক বেশি লোকজন আসবেন। আমার দোকানই শুধু নয়, এখানে সকলের ব্যবসা বাড়বে।” এবার কি আসবেন মুখ্যমন্ত্রী? ”উনি তো এদিক দিয়েই গিয়েছেন। আমি পথের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। এখন অপেক্ষা করে আছি, কবে আবার উনি আমার দোকানে আসবেন। আমার ব্যবসা তাহলে আরও বাড়বে”, আবেগঘন কণ্ঠে জানালেন পরিমল জানা।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1917217561953067026?s=19