নয়াদিল্লি: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা নিয়ে সারা দেশে চর্চা তুঙ্গে। এর মধ্যেই সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেয় কেন্দ্র। বৈঠকে হাজির ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা। বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে। সেই বৈঠকেই পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় নিরাপত্তায় গাফিলতির কথা স্বীকার করল কেন্দ্র।
পুলিশ এবং নিরাপত্তারক্ষীর অজান্তেই গত ২০ এপ্রিল বৈসরণে পর্যটকরা যেতে শুরু করে বলেও জানানো হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে যাতে এরকম কোনও ঘটনা না ঘটে, তার জন্য সর্বদা সতর্ক থাকা হবে এবং পাকিস্তানকে কড়া জবাব দেওয়া হবে বলেই বৈঠকের পর জানিয়েছেন মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তবে এরকম নিরাপত্তায় গাফিলতি কীভাবে হয়! তা নিয়ে চর্চা থামছে না।
একদিকে পহেলগাঁও-এর জ্বলন্ত ইস্যু অন্যদিকে বিহারের নির্বাচন! জঙ্গি হামলা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে গরহাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিহারের আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মধুবনীতে বৃহস্পতিবার সভা করেছেন তিনি। সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে বৈঠকে উপস্থিত হন লোকসভা-রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তৃণমূলের প্রতিনিধিত্ব করেন দলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বদল বৈঠকে মোদির উপস্থিত না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা।
পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের শাসক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স, আরএসপি, সিপিআইএমএলের মতো দল সরকারি বৈঠকে ডাকই পায়নি। আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বৈঠকে ডাক পাওয়া নিয়ে সকালে সরব হন। তাঁকে শেষ মুহূর্তে ডাকা হয়। বৈঠকে তাই তৃণমূলের প্রশ্ন, দেশের এই বিপদের দিনে কেন ‘প্রকৃত’ সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হল না? বিপাকে পড়ে লোক দেখানো বৈঠক বলেই সমালোচনা করে তৃণমূল।