প্রতিবেদন : পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনীতির ঘোলা জলে মাছ ধরতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। ফের শুরু করে দিয়েছে মেরুকরণের ঘৃণ্য রাজনীতি। আর এর মাঝেই মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় মুখ পুড়ল গেরুয়া শিবিরের। বিপাকে বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা। ১৭ বছরের পুরনো ওই মামলায় তার ফাঁসি চাইল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।
সাধ্বী, অন্য অন্যতম অভিযুক্ত কর্নেল পুরোহিত-সহ মোট ৭ অভিযুক্তের ফাঁসি চেয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ধারায় অভিযোগ এনেছে এনআইএ। প্রায় দেড় হাজার পাতার রিপোর্টে সাধ্বী প্রজ্ঞা, কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত, অজয় রোহিরকর, মেজর রমেশ উপাধ্যায়, স্বামী দয়ানন্দ পাণ্ডে, সমীর কুলকার্নি ও সুধাকর চতুর্বেদীর বিরুদ্ধে ইউপিএর ১৬ এবং ১৮ ধারা ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ৩০২, ৩০৭, ৩২৪,৩২৬, ৩২৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে একাধিক রাষ্ট্রদ্রোহিতার ধারা রয়েছে। মুম্বইয়ের বিশেষ আদালত আগামী ৮ মে এই মামলার রায় ঘোষণা করবে। ইতিমধ্যেই শুনানি শেষ হয়েছে। ২৯১ জন এই মামলায় সাক্ষী দিয়েছেন।
বিগত ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মুম্বই থেকে প্রায় ২৭০ কিমি দূরে মালেগাঁও কেঁপে ওঠে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে। বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন ছ’জন নিরীহ মানুষ, আহত হয়েছিলেন প্রায় শতাধিক। তারপরই তদন্তকারীদের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা সাধ্বী প্রজ্ঞা ও ভারতীয় সেনার কর্নেল পুরোহিত। ভারতে ‘হিন্দু সন্ত্রাসবাদ’ শাখা বিস্তার করছে এমনটাই অভিযোগ তুলেছিল তৎকালীন ইউপিএ সরকার।হামলার পর হেমন্ত করকরের নেতৃত্বে এই মামলার তদন্ত শুরু করে মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা। ওই বছরই মুম্বই হামলায় শহিদ হন তিনি।
এরপর ২০১১ সালে মালেগাঁও বিস্ফোরণের তদন্ত ভার এনআইএর হাতে তুলে দেওয়া হয়। তদন্তকারীদের দাবি, ওই বিস্ফোরণের নেপথ্যে রয়েছেন সাধ্বী প্রজ্ঞা, কর্নেল পুরোহিত-সহ ওই সাত অভিযুক্ত। শুধু তাই নয়, ‘অভিনব ভারত’ নামের একটি জঙ্গি সংগঠন তৈরি করে নাশকতা চালানোর অভিযোগও আনা হয় এদের বিরুদ্ধে। এবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এই সাত অভিযুক্তেরই ফাঁসি চাইল।