কলকাতা : বছরপাঁচেক আগেই শতবর্ষের মাইলফলক পার করেছে ইস্টবেঙ্গল। বাংলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এবার আসতে চলেছে একটি তথ্যচিত্র। বৃহস্পতিবার বিকালে রবীন্দ্র সদনে তার প্রিমিয়ার হতে চলেছে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের একশো বছরের ইতিহাস নিয়ে জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক গৌতম ঘোষ নির্মিত তথ্যচিত্র ‘শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গল’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় মুখ্যমন্ত্রী আসবেন। তারপরই তথ্যচিত্রের উদ্বোধন।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ক্লাবের তরফে আমন্ত্রিত মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম, সংস্কৃতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন-সহ বিশিষ্ট অতিথিরা। মঞ্চ আলো করবেন টলিউড তারকারাও। তথ্যচিত্রটির নির্মাতা জাতীয় পুরস্কার গৌতম ঘোষ স্বয়ং থাকছেন। সঙ্গে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, আবীর চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতা, অভিনেত্রীদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছে ক্লাব। তাঁরা ইতিমধ্যে সম্মতিও জানিয়েছেন। পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, নন্দিতা রায়ও থাকবেন বলে জানানো হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে।
ক্লাবের প্রাক্তন খেলোয়াড়দের পাশাপাশি জীবিত প্রাক্তন কর্তারাও উপস্থিত থাকবেন অনুষ্ঠানে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতার পরিবারের সদস্যদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছে ক্লাব। ইস্টবেঙ্গল ফুটবল স্কুলের খুদে ফুটবলাররাও থাকবে। শতবর্ষের ইতিহাস দেখিয়ে তাদের অনুপ্রাণিত করা হবে। বুধবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সচিব রূপক সাহা বলেন, ‘‘আমরা অনুষ্ঠানকে দু’টি ভাগে ভাগ করেছি। মূল অনুষ্ঠান ‘শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গল’ তথ্যচিত্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী করবেন বিকেল সাড়ে ৫টায়। তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী শুরুর আগে সদ্য জাতীয় লিগ জয়ী ভারতসেরা ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দলের ফুটবলারদের সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সৌম্যা, আশালতাদের উৎসাহিত করার পাশাপাশি ফুটবলারদের সম্মানিতও করবেন তিনি। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব বিকেল ৪টে থেকে রবীন্দ্রসদন চত্বরের বাইরের মঞ্চে। সেখানে ক্লাবের ইতিহাস, গর্বের মুহূর্তগুলোকে তুলে ধরা হবে।’’
এপ্রসঙ্গে শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, ‘‘শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গল ফিল্ম ২৮ এপ্রিল থেকে ৪ মে নন্দনে দেখানো হবে। এছাড়াও আমরা শহরের আরও কিছু সিনেমা হলে দেখানোর চেষ্টা করছি। ইউ টিউব এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও আনতে চাইছি আমরা।’’ তথ্যচিত্রে দেশভাগের মুহূর্ত এবং ওপার বাংলা থেকে ছিন্নমূল বাঙালদের সংঘর্ষ ও লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব গড়ে তোলার ইতিহাসও তুলে ধরা হয়েছে তথ্যচিত্রটিতে।