প্রতিবেদন: মঙ্গলবার সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় কেঁপে উঠেছে ভূস্বর্গ। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বহু পর্যটক। শোনা যাচ্ছে, ধর্মীয় পরিচয় জেনে হিন্দু পর্যটকদের বেছে বেছে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। অথচ সেই মুহূর্তে এক মহিলা পর্যটককে বাঁচাতে জঙ্গিদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন জনৈক সইদ আদিল হুসেন শাহ। এমনকী এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তখনই আদিলকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় সন্ত্রাসবাদীরা।
পহেলগাঁওয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকদের টাট্টু ঘোড়ায় চড়িয়ে উপার্জন করতেন আদিল। তাই দিয়ে চলত তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী, সন্তান এবং নিজের পেট। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে আদিলের মৃত্যুতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে পরিবারটির। ছেলের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন বাবা-মা। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা। আদিলের বাবা হায়দার শাহ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, “জঙ্গি হামলায় প্রাণ গিয়েছে আমার ছেলের। এর জন্য যেই দায়ী হোক না কেন, তাকে পরিণতি ভোগ করতেই হবে।”

এদিন মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বৈশরণ উপত্যকায় পরিস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। প্রাকৃতিক পরিবেশের মনোরম সৌন্দর্য উপভোগ করছিলেন পর্যটকেরা। তখনই অকস্মাৎ হামলা করে জঙ্গিরা। তাদের গুলিতে ২৬ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৫ জন ভূস্বর্গে ঘুরতে আসা পর্যটক। সইদ আদিল হুসেন শাহ একমাত্র নিহত স্থানীয় বাসিন্দা। জঙ্গিরা পর্যটকদের তাক করে গুলি চালাতে শুরু করলে ছুটে আসেন আদিল। এক জঙ্গির হাত থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তখনই তাঁকে লক্ষ গুলি চালায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আদিল।