ডায়মন্ড হারবার: এবার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই আনকোরা সাজে সেজে উঠতে চলেছে ডায়মন্ড হারবার পুরসভার অন্তর্গত কেল্লার মাঠ। যা পর্যটকদের কাছে অতি জনপ্রিয় স্থান। ‘পিকনিক স্পট’ হিসেবেও পরিচিত তা। হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত ডায়মন্ডহারবারের ঐতিহ্যবাহী কেল্লা। কিন্তু সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পর্তুগিজদের তৈরি এই কেল্লা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছিল। জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকায় আড়াইশো মিটার বাঁধ ব্লক পিচিং করা হবে। মাটি ফেলে আরও উঁচু করা হবে মাঠটিকে।
জানা যায়, পর্তুগিজ জলদস্যুরা নদীপথে বাণিজ্য করতে আসা জাহাজে লুঠপাট করত। তার জন্য এই কেল্লা ব্যবহার করত তারা। আগে হুগলি নদী-সংলগ্ন হাজিপুরের পূর্ব তীরের খাঁড়িতে ধবধবে সাদা নুন দেখা যেত। মাঝ নদী থেকে যাকে উজ্জ্বল হীরের টুকরো মনে হত। হাজিপুরকে ‘ডায়মন্ড ক্রীক’ নাম দেন পর্তুগীজ বণিকরা।এরপর এই জায়গার নাম হয় ডায়মন্ডহারবার। ইংরেজরাও এই জলপথ ধরে যাতায়াত করত। ইংরেজরা ডায়মন্ডহারবারেই একটি দুর্গ নির্মাণ করেছিল। তখন তারা নাম দেয়, ‘ডায়মন্ডহারবার চিংড়িখালি কেল্লা’। একাধিক কামান বসানো হয়েছিল, যাতে জলদস্যুরা আসতে না পারে।
এরপর হুগলি নদীর তীরে পোতাশ্রয় বা বন্দর গড়ে তোলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এখানে গড়ে ওঠা দুর্গে তিনটি কামান ছিল। কালের গতিতে তলিয়ে গিয়েছে কিছু অংশ। তবে বাকিটা রক্ষণাবেক্ষণ করার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক পান্নালাল হালদার। সেই প্রস্তাবের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে প্রথম পর্যায়ের কাজ।উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রণবকুমার দাস, ভাইস চেয়ারম্যান রাজশ্রী দাস ও একাধিক কাউন্সিলর। ছিলেন ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার তৃণমূল আহ্বায়ক শামিম আহমেদ ও পুরসভার তৃণমূল সভাপতি সৌমেন তরফদার।