বারাসাত : এবার ভুয়ো ভোটার শনাক্তকরণে চালু হল নতুন অ্যাপ। অ্যাপটির নাম ‘দিদির দূত’। ভুয়ো ভোটার খুঁজে বার করার পাশাপাশি সঠিক ভোটারের নাম কাটা গেলে তাও ধরা পড়বে অ্যাপে। শুক্রবার বিকেলে তৃণমূলের বারাসাত সাংগঠনিক জেলার মধ্যমগ্রাম জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন জেলা সভাপতি তথা বারাসতের সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। সেখানেই একথা জানালেন তিনি।
বৈঠকে কাকলি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হাবড়ার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মণ্ডল, রাজারহাট গোপালপুরের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়, অশোকনগরের বিধায়ক তথা জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, হাবড়ার পুরপ্রধান নারায়ণ সাহা, মধ্যমগ্রামের পুরপ্রধান নিমাই ঘোষ, অরুণ ভৌমিক প্রমুখ।
এদিন তৃণমূল সাংসদ বলেন, “বিজেপি ভুয়ো ভোটার ঢুকিয়ে বাংলা জয় করার স্বপ্ন দেখছিল। ভুয়ো ভোটার দিয়ে মহারাষ্ট্র, দিল্লির মতো বাংলাতেও জয় চেয়েছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সেই চেষ্টা ব্যর্থ করতেই এই অ্যাপ চালু করা হয়েছে। প্রতিটি বুথেই ৩০-৩০০ ভুয়ো ভোটারের নাম পাওয়া যাচ্ছে। হাবড়া বিধানসভাতেই ২৬ হাজার ভুয়ো ভোটারের তালিকা মিলেছে। লোকসভা নির্বাচনে বারাসত কেন্দ্রে প্রায় দেড় লক্ষ ভুয়ো ভোটার ভোট দিয়েছেন। এদের মধ্যে বাঙালি, অবাঙালি দুইই আছে। তাঁদের একাধিক জায়গার ভোটার তালিকায় নাম পাওয়া গিয়েছে। অনেকের কোনও খোঁজই পাওয়া যায়নি।”
নতুন অ্যাপ সম্বন্ধে কাকলি জানান, “প্রতিটি বুথকর্মীর মোবাইল নম্বর রেজিস্টার্ড করা হয়েছে। তাদের মোবাইল থেকেই এই অ্যাপটি খুলবে। সেখানে এপিক নম্বর দিলেই দেখা যাবে ওই ব্যক্তির অন্য কোথাও নাম আছে কিনা। শুধু তাই নয়, যদি কোনও সঠিক ব্যক্তির নাম কাটা যায় সেটিও অ্যাপের মাধ্যমে দেখা যাবে। এর ফলে রাতারাতি অনলাইনের মাধ্যমে যেভাবে বিজেপি ভুয়ো ভোটারদের নাম তালিকায় ঢুকিয়েছিল এবার আর তা হবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দলীয় কর্মীরা সর্বক্ষণ ভোটার তালিকার উপর নজর রাখবে বলে জানিয়েছেন তিনি।