নয়াদিল্লি: দলের নতুন সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবির ও সংঘের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে। শাহ ও মোদী নিজেদের ঘনিষ্ঠকেই এই পদে বসাতে মরিয়া। অন্যদিকে, নাছোরবান্দা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)। সংঘ চাইছে পছন্দের কাউকে এই পদে বসয়ে দলের অন্দরে নিজেদের প্রভাব বজায় রাখতে। এর মধ্যেই সোমবার বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকের আগেই নতুন সভাপতি চাইছে সংঘ। যদি সেটা না হয়, তাহলে বিজেপির থেকে তাঁদের সমস্ত প্রতিনিধিকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে সংঘের তরফে চরম হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, সংঘের এই হুঁশিয়ারির প্রেক্ষিতেই যাবতীয় কর্মসূচি বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্র ও শনিবার ব্যস্ত থাকবেন দলের নতুন সভাপতি ঠিক করতে। জাতীয় ও রাজ্যস্তরে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে যাঁরা থাকেন তাঁরা আরএসএস-এর প্রতিনিধি হন। এই সাংগঠনিক সম্পাদকদের তুলে নেওয়া হবে বলেই সংঘের হুঁশিয়ারি।
মোদি-শাহর পছন্দের প্রার্থীকে নেতৃত্বে বসাতে আপত্তি জানায় সংঘ। তাঁদের রাজি করাতে মোদিকে নাগপুরে সংঘের সদর দপ্তরেও ছুটে যেতে হয়েছে। কিন্তু, তাতেও সংঘের নেতারা রাজি হননি। মঙ্গলবার ও বুধবার রাতে অমিত শাহর বাসভবনে দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে। সেখানে নতুন সভাপতি ছাড়াও দলের নতুন যে কেন্দ্রীয় কমিটি তৈরি হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
সংঘ তাদের প্রতিনিধিদের বিজেপি থেকে প্রত্যাহার করে নিলে, তাহলে সাংগঠনিকভাবে বিজেপি সংকটে পড়বে। সামনেই বিহারে বিধানসভা ভোট রয়েছে। দলে সংঘের এই পদাধিকারীদের গুরুত্ব অপরিসীম। তাঁরাই বিজেপি ও সংঘের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজটি করেন। সংঘের সুপারিশেই সংঘের নেতাকে এই পদটি দেওয়া হয়। অর্থাৎ, তাঁরা না থাকলে বিজেপি সংঘ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।