প্রতিবেদন : মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশজুড়ে বারবার প্রকাশ্যে এসেছে হিন্দি আগ্রাসন। ইতিমধ্যেই হিন্দি আগ্রাসনের অভিযোগে উত্তাল তামিলনাড়ু। সে রাজ্যে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর না করার সিদ্ধান্তে অটল ডিএমকে সরকার। এরই মধ্যে একটি বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হল হিন্দি। মহারাষ্ট্র সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল, সে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষায় এবার থেকে হিন্দি শেখা বাধ্যতামূলক।
উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক স্তরে এবার কেন্দ্রের প্রস্তাবিত নয়া শিক্ষানীতি অনুযায়ী ‘ত্রিভাষা নীতি’ চালু করছে। প্রত্যেক মারাঠির জন্য মারাঠা শিক্ষা বাধ্যতামূলক। সেই সঙ্গে ভারতীয় ভাষা হিসাবে শিখতে হবে হিন্দিও। তৃতীয় ভাষা হিসাবে ইংরাজি বা নিজের পছন্দমতো কোনও ভাষা শিখতে পারবে পড়ুয়ারা। ইতিমধ্যেই এই বিজ্ঞপ্তির বিরোধিতা শুরু হয়েছে বিরোধী শিবির।
মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরে স্পষ্ট জানিয়েছেন, “আমরা হিন্দু কিন্তু হিন্দিভাষী নই। এভাবে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া মানব না। কেন্দ্রের যা নিয়ম আছে সেটা সরকারি কাজে কার্যকর হোক। কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থায় এই ধরনের আগ্রাসন মানা হবে না।” এমএনএস বরাবরই মারাঠি অস্মিতা নিয়ে মুখর হয়েছে। প্রথম হিন্দি বিরোধী অবস্থান নিলেন রাজ ঠাকরেই।
পাশাপাশি, কংগ্রেসের বিধানসভার দলনেতা বিজয় ওয়াদ্দিওয়ার বলছেন, “মহারাষ্ট্র সরকারের উচিত দ্রুত এই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা। মারাঠি মহারাষ্ট্রের প্রধান ভাষা। এভাবে তৃতীয় ভাষা হিসাবে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া মারাঠাদের প্রতি অবিচার।” যদিও মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। তাঁর পালটা প্রশ্ন, “হিন্দি ভারতীয় ভাষা। সেটা শিখতে সমস্যা কোথায়?” হিন্দি আগ্রাসন নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব তামিলনাড়ু। সে রাজ্যে কার্যত ভাষাযুদ্ধের আহ্বান জানিয়েছেন স্ট্যালিন। মহারাষ্ট্রে বিরোধিতা সেই পর্যায়ে না পৌঁছলেও, বিক্ষোভের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে।