কলকাতা: চাপের মুখে পড়ে গত ৯ এপ্রিল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে একটি সাংবাদিক বৈঠকে অভয়া তহবিলের জমা খরচের হিসাব দেবেন বলে জানানো হয়। সেই কথানুযায়ী বুধবার, ১৬ এপ্রিল তাঁরা তহবিলের হিসাব প্রকাশ করলেন। প্রকাশ্যে আনা তথ্য অনুসারে, মোট চাঁদা উঠেছে ৩ কোটি ১৮ লক্ষ। খরচ হয়েছে ১ কোটি ৪৯ লক্ষ ৩২ হাজার ৬৭৯ টাকা। তাহলে বাকি টাকা নিয়ে কী করবেন জুনিয়র ডাক্তাররা? এই হিসাব প্রকাশের পরেই এরকম একাধিক প্রশ্নে জর্জরিত জুনিয়র চিকিৎসকরা।
জানানো হয়েছে, অভয়া ক্লিনিকের জন্য ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩৪৪, লালবাজার অভিযানের খাতে ৬৬ হাজার ৬১৬, মেডিক্যাল কলেজ গণ কনভেনশনের জন্য ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬৪৫, মিছিলের জন্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার ১৬৫, স্বাস্থ্যভবন অভিযানে ১২ লক্ষ ৭ হাজার ৩৮৩, বন্যাদুর্গত এলাকায় অভয়া ক্যাম্প করতে ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ২৫৫, এসএসকেএমে গণ কনভেনশনের জন্য ৯৬ হাজার ৫৬০ খরচ হয়েছে। পাশাপাশি মহালয়ার মিছিলের জন্য ৭ লক্ষ ১৬ হাজার, ধর্মতলার অনশনে ৮ লক্ষ ৭৯ হাজার ২৫৭ খরচ হয়েছে।
এছাড়াও লিফলেট-পোস্টারের জন্য ১ লক্ষ ১২ হাজার ৫৫০, মেডিক্যাল কলেজ মঞ্চ ও গ্যালারি (১২ আগস্ট,২০২৪-১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪)-এর জন্য ১৫ লক্ষ ৩ হাজার ৯৭০, রক্তদান শিবিরে ৬ হাজার, আইনি সহায়তায় খরচ ও অন্যান্য মিলিয়ে ২ লক্ষ ২৬ হাজার ৭৪৩, বিভিন্ন সামগ্রীর খাতে খরচ দেখানো হয়েছে ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৬৮০, প্রিন্টিং ও স্টেশনারির জন্য ৫৮ হাজার ৬৭৯, অন্যান্য ক্ষেত্রে খরচ হয়েছে ৫৩ হাজার ৯৫৬ এবং ব্যাঙ্ক চার্জ লেগেছে ১ হাজার ৯৪৫ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০২৪ এর ৯ অগস্ট এই তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের পরে আন্দোলনে নামেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই স্বার্থেই এই অভয়া তহবিল। কিন্তু এই হিসাব প্রকাশের পরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। হিসাব অনুযায়ী, যে পরিমাণ টাকা অভয়া তহবিলের জমা পড়েছে তার প্রায় একভাগও খরচ হয়নি। তাই বাকি টাকা রয়ে গিয়েছে। আবার বর্তমানে আর জি কর আন্দোলনের ঝাঁজ একেবারে নেই বললে চললে। তা সত্ত্বেও এই টাকা অভয়ার বাবা-মার হাতে তুলে দেওয়া হয়নি কিংবা মামলা মোকদ্দমা সংক্রান্ত কাজেও লাগানো হয়নি। তাহলে এই বিপুল পরিমাণ টাকা বর্তমানে কীভাবে খরচ করা হবে, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়েছে।