কলকাতা : জননেত্রী তিনি। জনসাধারণের কাছের মানুষ, কাজের মানুষ। ছুটে যান তাদের বিপদে-আপদে-সমস্যায়। পাশে দাঁড়ান সাধ্যমতো। মিশে যেতে ভালবাসেন জনতার ভিড়ে। সরল, আড়ম্বরহীন, সাধারণ জীবনযাপনেই অভ্যস্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে তা আরও একবার অপকট ভঙ্গিতে জানিয়ে দিলেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বললেন, “আমি এলিট ক্লাস নই। ভালো ইংরাজি বা হিন্দি বলতে পারি না।” স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিলেন, তিনি সমাজের আমজনতার প্রতিনিধি। তাদের মতোই সাধারণ।
ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঠেঘাটে নেমে লড়াই করেছেন। মাটির গন্ধ চেনেন তিনি। ক্ষমতার অলিন্দে থেকেও ভোলেননি তা। সেকারণেই মমতার রাজনীতিতে বরাবর গুরুত্ব পেয়েছেন সমাজের নিচুতলার মানুষ। কটাক্ষও কম শুনতে হয়নি তাঁকে। তাঁর বাচনভঙ্গি নিয়ে বিদ্রূপ করতে ভালবাসেন তথাকথিত ‘বামপন্থী’রা। এদিন তারই জবাব দিয়ে গেলেন মমতা। অকপটে স্পষ্ট ভাষায় বলে গেলেন, তিনি এলিট ক্লাস নন। ইংরাজি বা হিন্দি কোনও ভাষাতেই তিনি সাবলীল নন। আমজনতার মতো বাংলা ভাষাতেই স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করেন।
উল্লেখ্য, একদা সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মতো মুখ্যমন্ত্রীদের দেখেছে বঙ্গরাজনীতি। ‘এলিট’ ক্লাসে ছিল যাঁদের অবাধ বিচরণ। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই মাটির সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে চলতে ভালবাসেন। সাধারণের কথা, সাধারণভাবে, সাধারণ ভাষায় বলতেই পছন্দ করেন তিনি। সেই স্বরেই নিজেদের আস্থা খুঁজে পান বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষ। এদিন আরও একবার নিজের নেই সাধারণত্বের বার্তাই তুলে ধরলেন তিনি।