নয়াদিল্লি: হিন্দুত্ববাদী দল হিসেবে বিরোধীদের খোঁচা সামলাতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির। মোদী সরকার যে সং্খ্যালঘুদের বিরোধিতায় সিদ্ধহস্ত সে অভিযোগও করেছেন বিরোধীরা। আসন্ন বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে সেই ভাবমূর্তি পরিবর্তনের চেষ্টা চালাতে পারে বিজেপি। ধর্মকে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে হাতিয়ার বানাতে হয় কীভাবে তা বারবার দেখিয়েছে বিজেপি। এমন খোঁচা বিরোধীদের মুখে হামেশাই শোনা যায়। এবার সেই ইমেজকেই পরিবর্তন করতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবল হতে পারে বলেই শোনা যাচ্ছে। তৃতীয়বারের মোদি মন্ত্রিসভায় প্রথম কোনও মুসলিম ‘মুখ’-কে জায়গা দেওয়া হতে পারে এমন সম্ভাবনাও প্রবল।
জানা গিয়েছে, চলতি এপ্রিল মাসেই প্রথমে বিজেপির নতুন সর্বভারতীয় সভাপতির নাম ও কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের নামের তালিকা ঘোষণা হবে। তার দিন কয়েকের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবল হতে পারে। মুসলিম মুখ এনে নয়া ছক কষছে বিজেপি। তবে সেক্ষেত্রে পসমান্দা সম্প্রদায়ের কোনও ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে জায়গা দেওয়া হতে পারে।
ওয়াকফ আইন নিয়ে চাপের মুখে পড়তে হয়েছে মোদী সরকারকে। দেশের সং্খ্যালঘু মুসলিমরা এই আইন পাশ হওয়ায় প্রতিবাদের সুর চড়া করেছেন। বিরোধীরা মুসলিম বিরোধী আইন বলেও তকমা দিয়েছেন। এহেন পরিস্থিতিতে সং্খ্যালঘুদের চটিয়ে ফেলেছে বিজেপি। ভোটব্যাঙ্কে তার প্রভাব পড়ার সম্ভাবনাও প্রবল। বিহারের বিধানসভা নির্বাচন চলতি বছরেই, সেখানে এই মুসলিম বিরোধী মনোভাব ভোটব্যাঙ্ককে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা প্রবল। সেই কথা মাথায় রেখেই এখন মন্ত্রিসভার এই রদবদল। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, চলতি এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই বিজেপির নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা হওয়ার কথা। তার মাঝেই গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ও এক ঘণ্টার বৈঠকই মন্ত্রিসভার রদবদলের জল্পনা উসকে দিয়েছে। আবার সেই একই সময়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়েছে। যা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের জল্পনায় আরও গতি দিয়েছে।
সংগঠন থেকে মন্ত্রিসভা নতুন মুখকে জায়গা দেওয়া হতে পারে গেরুয়া শিবিরে। এই তালিকায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের নাম জল্পনায় রয়েছে। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের শরিক দলের বেশ কয়েকজন নেতা প্রফুল প্যাটেল, শ্রীকান্ত শিণ্ডের নামও আলোচনায় রয়েছে।