নয়াদিল্লি : কেন্দ্রের আনা সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই আন্দোলনের পথে হেঁটেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বড় অংশ। বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফেও একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার সেই সমস্ত মামলার শুনানি হল সুপ্রিম কোর্টে। শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানাল, হিন্দু মন্দির বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান দেখাশোনার বোর্ডে অন্য সম্প্রদায়ের কেউ থাকে না।
সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে বিরোধীদের অন্যতম হাতিয়ার ছিল ওয়াকফ বোর্ডে অ-মুসলিম সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি। এবার সেই ইস্যুতে মুখ খুলল শীর্ষ আদালত। শুনানির সময়ে আবেদনকারীর আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, সংবিধানের ২৬ অনুচ্ছেদে ধর্মপালনের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেই অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করছে এই আইন। নতুন আইনে জেলাশাসককে ওয়াকফ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারি প্রতিনিধি হিসাবে জেলাশাসক নিরপেক্ষ ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।
এদিন সওয়াল চলাকালীন বিচারপতিদের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, হিন্দু ধর্মের সম্পত্তি দেখভাল করার বোর্ডে অন্য ধর্মাবলম্বীরা থাকেন না। উদাহরণ হিসাবে তিরুপতি বোর্ডের উল্লেখ করেন বিচারপতি কুমার। এবার কি হিন্দু ধর্মের ট্রাস্টগুলিতে মুসলিমদের সদস্যপদ দেবে কেন্দ্র? কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে জিজ্ঞাসা করেন প্রধান বিচারপতি। প্রশ্নের জবাব মেলেনি কৌঁসুলির তরফে। তবে নতুন আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। উত্তর দিতে হবে দুই সপ্তাহের মধ্যেই।