নয়াদিল্লি : চলতি এপ্রিলের শুরুতেই লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গিয়েছিল ওয়াকফ সংশোধনী বিল। এরপর রাষ্ট্রপতি তাতে স্বাক্ষর করতেই আনুষ্ঠানিকভাবে তা পরিণত হয় আইনে। নয়া এই আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে বইছে বিতর্কের ঝড়। আইনটির বিরুদ্ধে যতগুলি মামলা দায়ের হয়েছে, বুধবার সুপ্রিম কোর্টে তাদের শুনানি হল। কয়েক শতাব্দী পুরনো মসজিদের ক্ষেত্রে ‘সেল ডিড’ কীভাবে চাওয়া হতে পারে? এমনই প্রশ্ন তুলল শীর্ষ আদালত।
নতুন ওয়াকফ আইন মুসলিম স্বার্থবিরোধী বলে অভিযোগ তুলে আন্দোলনের পথে হেঁটেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বড় অংশ। বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। ইসলামিক সংগঠন তো বটেই, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফেও একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার সেই সমস্ত মামলার শুনানি হল সুপ্রিম কোর্ট। সেখানেই কেন্দ্রের উদ্দেশে প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি।
সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, ”ব্রিটিশরা আসার আগে আমাদের কোনও জমি নথিভুক্তকরণের আইন ছিল না। বহু মসজিদ রয়েছে যেগুলি নির্মিত হয় চতুর্দশ, পঞ্চদশ ও সপ্তদশ শতাব্দীতে। তাদের পক্ষে রেজিস্ট্রি করা সেল ডিড দেওয়া অসম্ভব। জামা মসজিদের ক্ষেত্রটিও তেমনই। ওই মসজিদ ‘ভোগ-দখলে ওয়াকফ’ সম্পত্তি। ২০২৫ সালের ওয়াকফ সংশোধনী আইনে এটা প্রমাণ করতে গেলে কি এর আগে থেকে ওয়াকফ আইনে লাগু ‘ভোগ-দখলে ওয়াকফ’-এর আইনও শূন্য হয়ে যায় না?”
প্রসঙ্গত, সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে কেন্দ্রের বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতে মামলা করেছে তৃণমূল, সিপিআই, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, জেডিইউ, ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগ-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল। প্রায় প্রতিটি মামলারই মূল বক্তব্য, মুসলিমদের মৌলিক অধিকারে আঘাত হানতে চলেছে এই নয়া আইন।