কলকাতা : মোদী সরকারের আনা ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই উত্তাল সারা দেশ। ব্যতিক্রম নয় বাংলাও। আন্দোলনের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন জেলাগুলিতে। প্রশাসনের তৎপরতায় আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি প্রাথমিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, মুর্শিদাবাদে ঘটিত হিংসার নেপথ্যে নাকি রয়েছে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম-মুয়াজ্জেনদের সমাবেশে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি কড়া ভাষায় একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। মুর্শিদাবাদে অশান্তিতে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা জড়িত হলে দায় নিতে হবে মোদী সরকারকেই, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মমতা।
এদিন শাহকে নিশানা করে মমতার অভিযোগ, “একটি সংবাদ মাধ্যমের ভিডিওতে দেখছিলাম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি রিপোর্ট বলছে, মুর্শিদাবাদের অশান্তিতে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা জড়িত। তাহলে সেটা কার দায়? সীমান্ত পেরিয়ে যে বাংলাদেশিরা ভারতে প্রবেশ করছে, তার জন্য দায়ী কে? বিএসএফ কাদের নির্দেশে কাজ করে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে। আমাদের কী দোষ? বিএসএফ কেন ঢুকতে দিল বাংলাদেশিদের?” পাশাপাশি অমিত শাহকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “আপনি কেন এসব করছেন? আপনি তো কোনওদিন প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।”
পাশাপাশি শাহকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, “আপনি কালিদাসের মতো যে গাছে বসেছেন সেই গাছের ডাল কাটছেন। মোদী চলে গেলে কী হবে?” এর আগে বিরোধীরা একাধিকবার অভিযোগ করেছে, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করে তাদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে বিজেপি। বুধবার মমতার গলাতেও সেই একই সুর শোনা গেল। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, এজেন্সিগুলির মাধ্যমে বাইরে থেকে লোক ঢুকিয়ে বিশৃঙ্খলার করছে বিজেপি। “রামনবমীতে পরিকল্পনা ছিল দাঙ্গা বাঁধানোর। কিন্তু মানুষ সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ করে শান্তি বজায় রেখেছেন। এর জন্য ধন্যবাদ। ওয়াকফ নিয়েও বিজেপি অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করবে। তাঁদের এই প্রচেষ্টাও রুখে দিন”, বার্তা মমতার।