কলকাতা : চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।(Mamata Banerjee)জানিয়েছিলেন, আইনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তিনি পথ বের করবেন। সেই আশ্বাস দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই শিক্ষকরা দেখলেন, রাজ্যে শিক্ষা দফতরের বেতন পাওয়ার নির্দিষ্ট পোর্টালে তাঁদের নাম রয়েছে আগের মতোই। অর্থাৎ, বেতন মিলবে। কোনও চাকরিহারাকে আর্থিক সংকটের মুখে পড়তে হবে না।
Read More: এবার অনুমোদন পাবে বাংলার ২৩টি বিল, আশাবাদী বিধানসভার অধ্যক্ষ
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, “শিক্ষকদের মাইনে সংক্রান্ত পোর্টাল আপডেট করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও স্কুলে কোনও শিক্ষককে বাদ দেওয়া হয়নি। কোথাও বেতন বন্ধের কথা বলাও হয়নি।” বেতনের বিষয়ে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বলেও জানিয়েছেন ব্রাত্য। বুধবার নবান্নে মুখ্যসচিব শিক্ষকদের প্ররোচনায় পা না দেওয়ার আবেদন করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee)ভরসা দিয়েছিলেন চাকরিহারাদের পাশে আছেন। আমরা তাঁদের পাশে থাকার সমস্ত চেষ্টা করছি। তা সত্ত্বেও বেশ কিছু অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। এটা বাঞ্ছনীয় নয়। আমরা চাই না এমন ঘটনা ঘটুক। সুপ্রিম কোর্টের রায় মাথায় রেখেই আমাদের পদক্ষেপ করতে হবে। আর এটাতে কারও কোনও লাভ হচ্ছে না। কারও উসকানিতে যেন আমরা না যাই। আইন হাতে তুলে নেওয়া কখনওই উচিত নয়।”
পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, “হয়তো কেউ কেউ চাকরিহারাদের প্ররোচিত করেছে, আর ওঁরা তাতে পা দিচ্ছে।” শনিবার চাকরিহারাদের সঙ্গে ফের তাঁর বৈঠক হবে জানিয়ে ব্রাত্য বলেন, “সরকার সর্বতোভাবে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও এখনই আন্দোলন, লড়াই, প্রতিবাদ কেন? আমরা তো যোগ্য বঞ্চিতদের পাশে আছি। একটু ধৈর্য ধরুন।” ওই বৈঠকে এসএসসি চেয়ারম্যান, বিভাগীয় সচিব থেকে শুরু করে শিক্ষা দফতরে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের থাকার কথা। ব্রাত্য বলেন, “এক দিকে বৈঠক, অন্য দিকে ধ্বংসাত্মক আন্দোলন, দুটো একসঙ্গে চলতে পারে না।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1909977907499331910?s=19
মুখ্যসচিব এও জানান, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখতে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন করেছে। সেখানে সকলে যাতে কাজ চালিয়ে যেতে পারে, তা বলা হয়েছে। দ্রুত রিভিউ পিটিশনও ফাইল করা হবে। তাঁর বক্তব্য, “যা হচ্ছে সেটা বাঞ্ছনীয় নয়। আমরা আশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করছি, ওঁদের পাশে আছি। মানবিক দিক খতিয়ে দেখেই আমরা কাজ করার চেষ্টা করছি। এমন কিছু করবেন না যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হয় বা আইনি ব্যবস্থায় কোনও জটিলতা তৈরি হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকার সমাজে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে, আমরা ওদের শ্রদ্ধা করি। আইনের পথেই এই সমস্যার সমাধান বের করতে হবে। ধৈর্য রাখতে হবে। সরকারের ওপর ভরসা রাখতে হবে। পারস্পরিক আস্থা-বিশ্বাসের মাধ্যমে এগোতে হবে সমস্যার সমাধানে। সংবাদমাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি শিক্ষকরা বাচ্চাদের পড়াচ্ছেন, অন্যান্য কাজ করছেন। পড়াশোনা করাছেন, তাঁদের অভিনন্দন।” আগাণী ১৭ এপ্রিল, ফের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে।