রামপুরহাট: শুভদিনে মা তারার দর্শনে ভক্তদের সমাগম ঘটে তারাপীঠ মন্দিরে।(Tarapith Temple)বাংলা নববর্ষের দিনেও তার অন্যথা হয় না। দূরদূরান্ত থেকে লোক আসেন মায়ের দর্শন করে পুজো দিতে। তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে বারবার এই পুজো সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন অনেকেরই চোখে পড়ছে। আগাম পুরোহিতের এবং পুজোর উপকরণের টাকা পাঠালেই পুজো দেওয়া যাবে বাড়িতে বসে। এরকম ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন কয়েকজন সেবায়ত। তা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত।
Read More: বিধ্বংসী সেঞ্চুরির নেপথ্যে শ্রেয়সের ‘পেপটক’, জানালেন চেন্নাই-বধের নায়ক প্রিয়াংশ
ভিড় এড়াতে ও সময় বাঁচাতে কেউ চাইলে অনলাইনে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা করতে চান কয়েকজন সেবায়েত। এতে আপত্তি মন্দির কমিটির। কিছুজন সেবায়ত এই অনলাইনে পুজো নিয়ে ভিডিও করে বিজ্ঞাপনী প্রচারও চালাচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়েছে, অনলাইনে পুজো বুক করলে বাড়িতে বসে মিলবে প্রসাদ ও ভিডিও প্রুফ (রেকর্ড)। ক্যাশ অন ডেলিভারির ব্যবস্থা আছে। ৬০১ টাকা থেকে পুজো শুরু যত টাকা মূল্যের পুজো দিতে পারেন।

এ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। আপত্তি জানিয়েছে মন্দির কমিটি। তারাপীঠ মন্দির কমিটির(Tarapith Temple)দাবি, এভাবে অনলাইনে পুজো দেওয়া অবৈধ। পুজোর সময় কোনও ভিডিও করা যাবে না, এই নিয়ম আগে থেকেই আছে। তারাপীঠ মন্দির কমিটির তরফে এমন কোনও ব্যবস্থা নেই বলে জানা গিয়েছে। ভক্তদের আবেগকে শ্রদ্ধা জানিয়ে, মন্দির কমিটির তরফে বলা হয়েছে, তারা মায়ের কাছে পুজো নিবেদন করতে হলে আসতে হবে মন্দিরেই।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1909944867020496973?s=19
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে স্পষ্ট জানান, “তারাপীঠ মন্দিরের কোনও নিজস্ব অনলাইন মাধ্যম বা পেজ নেই যেখানে ঘরে বসে পুজো দিয়ে প্রসাদ পেতে পারেন ভক্তরা। ফেসবুক ও ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখে অনেক ভক্তই তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁরা প্রতারিত হন। সেই কারণে আমরা একাধিকবার সাইবার ক্রাইমের দ্বারস্থ হয়েছি।”
এই মর্মে ভক্তদের সাবধান করে তিনি জানিয়েছেন, “ভক্তরা অনলাইনে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন। আর এই জন্যই ভক্তদের উদ্দেশে আমাদের একটাই বার্তা। দয়া করে অনলাইনে কোনও বিজ্ঞাপন দেখে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেবেন না। এভাবে অনলাইনে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা তারাপীঠ মন্দিরে নেই। তবে নিজের পরিচিত সেবায়েত যদি কেউ থাকে তাঁর মারফত পুজো দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সেবায়েতরা ডাকযোগে প্রসাদ পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।”