কলকাতা : নরেন্দ্র মোদীর জমানায় দেশে শিক্ষা-দুর্নীতিতে চাকরি হারানোর ঘটনা নতুন নয়।ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশের মতো বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে এমনটা ঘটেছে। দুর্নীতির অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হয়ে চাকরি খুইয়েছেন বহু শিক্ষক, শিক্ষিকা। নিট পরীক্ষার পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি আলোড়ন তৈরি করেছিল সারা দেশজুড়ে। এসমস্ত বিষয় উত্থাপন করেই এবার বিজেপিকে কড়া ভাষায় একহাত নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারা শিক্ষকদের সমাবেশ থেকে পদ্মশিবিরকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম কেলেঙ্কারির কথা ভুলে গেলেন? নিটেও কেলেঙ্কারি হয়েছে। কিন্তু সেসবে তো কারও চাকরি যায়নি। শুধু বাংলায় কিছু হলেই চক্রান্ত? বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চক্রান্ত হচ্ছে। এই রায়ের পিছনে অন্য কোনও খেলা নেই তো?”
বছরখানেক আগেই সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে বছর খানেক আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সারা দেশ। পরীক্ষায় মোট নম্বরের চেয়ে স্কোরকার্ডে অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। তাতেই দুর্নীতি বেআব্রু হয়। প্রকৃত মেধাবীরা সুযোগ পাননি বলে অভিযোগ ওঠে। পরবর্তী সময়ে এসব সামলাতে এনটিএ অর্থাৎ ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির শীর্ষ কর্তাকে বদল করে দেওয়া হয়। নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে মেধাতালিকা প্রকাশ করে এনটিএ। তারও আগে বছর ১২ আগে মধ্যপ্রদেশে প্রবেশিকা পরীক্ষা ব্যাপমেও এমনই কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসে। যাতে জড়িয়ে পড়ে বহু রাজনীতিবিদের নামও।
এহেন যাবতীয় কেলেঙ্কারির কথা তুলেই এদিন বিজেপিকে তোপ দাগেন মমতা। “মধ্যপ্রদেশে ব্যাপম, পরে নিটেও তো দুর্নীতি হয়েছিল। তাতে তো কারও চাকরি যায়নি। বাংলার জন্যই শুধু চক্রান্ত? শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চক্রান্ত! আমি বেঁচে থাকতে যোগ্যদের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। সুপ্রিম কোর্টকে বলতে চাই, চাকরি দিতে না পারলে কেড়ে নেবেন না। শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাঁচাতে শিক্ষকদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক”, সাফ জানান তিনি।