নয়াদিল্লি: বিজেপি জোটশাসিত বিহারের জন্য মুক্ত হস্ত! অথচ বাংলার বরাতে জুটছে না কিছুই। আরও একবার ফুটে উঠল মোদী সরকারের নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্বের ছবি। কেন্দ্রীয় বাজেটে বিহারকে দু-হাত খুলে দেবার পর ফের সেই রাজ্যের জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে ৫৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র। এই টাকা দেওয়ার প্রকৃত উদ্দেশ্যটা কী? প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা, নাকি সামনের বিধানসভা বিহারে বিজেপির রাজনৈতিক বিপর্যয়কে আটকানোর প্রাণপণ চেষ্টা? উঠছে প্রশ্ন।
একথা স্পষ্ট যে, বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করেই ঘৃণ্য রাজনীতির খেলায় নেমেছে বিজেপি। চলতি আর্থিক বছরের জন্য পেশ করা সাধারণ বাজেটে বিহারের জন্য ঢালাও আর্থিক বরাদ্দ করা হয়েছে৷ এটা দেখার পরেই উন্নয়নের নামে বিহারের ভোটমুখী সাধারণ বাজেট পেশ করার জন্য মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছিল তৃণমূল-সহ পুরো বিরোধী শিবির৷ তারপরেও ফের বিহারকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হল। একইভাবে প্রচুর টাকা দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরিকেও৷ অথচ বরাবরের মত এবারেও বঞ্চিতই থেকে গিয়েছে বঙ্গ৷
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলার খাতে বাংলার ন্যায্য বরাদ্দ টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র ৷ আমফান, ইয়াস, দানা-সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে প্রাপ্য টাকা না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সম্প্রতি রাজ্যসভায় বিপর্যয় মোকাবিলা বিল নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলার বঞ্চনার তথ্য তুলে ধরে মোদী সরকারের বিমাতৃসুলভ আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই সময় রাজ্যসভায় উপস্থিত থাকলেও বাংলার বকেয়া নিয়ে একটি শব্দও বলেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ৷ এর পরেই রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে মোদী সরকারের মুখোশ খুলে দিয়েছেন ঋতব্রত৷ বাংলার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান প্রকল্পে কেন কেন্দ্রীয় সরকার আর্থিক সহযোগিতা করছে না, জানতে চান তিনি৷ বাংলার সঙ্গে কীভাবে প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে কেন্দ্র, সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন। বিপর্যয় মোকাবিলা খাতে মোট চাহিদার মাত্র ৭ শতাংশ কেন বাংলাকে দেওয়া হয়েছে? কেন বাংলার বরাদ্দ ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে? প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ।