নয়াদিল্লি : ক্রমেই কি দুর্বল হয়ে পড়ছে গেরুয়া পার্টির সংগঠন? এমনটাই প্রশ্ন উঠছে রাজনীতির পরিসরে। দলের রাজ্য সভাপতি বেছে নিতেই কালঘাম ছুটেছে বিজেপির। সম্প্রতিই শেষ হয়েছে বাজেট অধিবেশন। এমতাবস্থায় দলের সর্বভারতীয় সভাপতি বেছে নেওয়ার ব্যাপারে তৎপর হতে চাইছে পদ্ম-নেতৃত্ব। সূত্র জানাচ্ছে, আগামী দিন দশেকের মধ্যে দলের নতুন প্রধান বেছে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ১৯ জন রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের পরেই কেন্দ্রীয় সভাপতির নির্বাচন সম্ভব। বর্তমানে ১৩টি রাজ্যের রাজ্য সভাপতি বেছে নিয়েছে দল। ৬টি রাজ্যের এখনও সভাপতি নির্বাচন করতে পারেনি তারা।
গত মার্চে নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গিয়েছে, তাঁদের আলোচনার অন্যতম বিষয়বস্তু ছিল পরবর্তী বিজেপি সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরেই মতবিরোধ জারি রয়েছে দুই শিবিরে। এখনও অধরা সুরাহাসূত্র। দলীয় সভাপতির নাম চূড়ান্ত করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক কাজগুলি সেরে ফেলতে মরিয়া বিজেপি নেতৃত্ব। বিশেষত উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক ও পশ্চিমবঙ্গের মতো বড় রাজ্যগুলিতে যাতে দ্রুত সভাপতি নির্বাচন সেরে ফেলা যায় তার উপরে জোর দিচ্ছে দল।
উল্লেখ্য, আগামী বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। এ রাজ্যে বিজেপির সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে দলের অন্দরেই রয়েছে মতানৈক্য। দলের একাংশ মনে করছেন, নতুন সভাপতি বেছে নেওয়ার অর্থই হল দলে নতুন শিবিরের জন্ম দেওয়া। তার চেয়ে বর্তমান সভাপতিকে রেখেই নেতৃত্বের ভিতরে চলতে থাকা দ্বন্দ্ব নিয়ন্ত্রণে এনে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করুক নামুক দল। যদিও রাজনীতির কারবারিদের মতে, এ ধরনের চিন্তাভাবনা থাকলেও এখন বাংলার রাজ্য সভাপতি পরিবর্তনের কথাই ভাবছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।