কলকাতা : স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নয়নে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলা। এবার শহরে স্নায়ু চিকিৎসার জন্য অত্যাধুনিক হাসপাতাল গড়ে উঠতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উদ্যোগে।(State Government)কলকাতার পূর্বপ্রান্তে কনভেন্ট রোডে ওই হাসপাতাল তৈরি করতে রাজ্য সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ৫৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
Read More: প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের স্ত্রীর নিরাপত্তা কমাল মোদী সরকার, শুরু বিতর্ক
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের (State Government)জনৈক কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক নিউরো মেডিসিন ও সার্জারির হাসপাতাল হয়েছে। কিন্তু এমন কোনও সম্পূর্ণ স্নায়ু হাসপাতাল কার্যত নেই, যেখানে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক উদ্যোগে সেই কাজ শুরু হতে চলেছে। ফলে রাজ্যবাসীকে আর মোটা টাকা খরচ করে বেসরকারি হাসপাতালে ছুটতে হবে না।’’
সূত্র অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই রাজ্য অর্থদফতর এই হাসপাতাল ও গবেষণাকেন্দ্রের জন্য ৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। প্রস্তাবিত হাসপাতালের প্রাথমিক নকশা তৈরি করেছে রাজ্য পূর্ত দফতর। আপাতত ৭ তলা হাসপাতাল হবে। হাসপাতালটিতে স্নায়ুর সূক্ষ্ম অস্ত্রোপচার হবে। নিউরো সার্জারি ও নিউরো মেডিসিনের পোস্ট ডক্টরাল কোর্স করানো হবে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দু’টি সাব স্টেশন থাকবে প্রস্তাবিত হাসপাতালে।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1908523966123167760?s=19
উক্ত আধিকারিক জানিয়েছেন, দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। ২০২৬ সালের মধ্যেই স্বয়ংসম্পূর্ণ হাসপাতাল তৈরি হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে চিঠি লেখা হয়েছে প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে এক কিলোমিটারেরও কম দূরত্বের এই জমিটি হাসপাতালের জন্য অধিগৃহীত। প্রস্তাবিত হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসার পাশাপাশি হবে গবেষণার কাজও।
রাজ্য স্বাস্থ্য ও অর্থদফতর সূত্র জানাচ্ছে, এই কাজের জন্য ৩ দফায় অর্থ বরাদ্দ করা হবে। ইতিমধ্যে প্রথম দফায় ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের জটিল স্নায়ুর রোগের চিকিৎসা, অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি সেরিব্রাল স্ট্রোকের চিকিৎসার পর ফলো আপের জন্য এই হাসপাতালে পৃথক বিভাগ রাখা হবে। এসএসকেএমের অ্যানেক্স বাঙুর ইনস্টিউট অফ নিউরোলজিতে স্নায়ুর জটিল অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু রোগীর চাপ থাকে। তা কমাতেই পৃথক একটি স্নায়ুর হাসপাতালের অবশ্য প্রয়োজন বলে মনে করছে রাজ্য।
উক্ত কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্যই নতুন নিউরো সার্জারি ও মেডিসিনের হাসপাতাল ও গবেষণাকেন্দ্র জরুরি। ২০২৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে পুরোদমে কাজ শুরু হবে।’’ প্রস্তাবিত হাসপাতালে কত শয্যা থাকবে, তা অবশ্য এখনও ঠিক হয়নি। প্রকল্পটি নির্ভর করছে পূর্ত দফতরের কাজের উপর। বাঙুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজিতে ২৫০ শয্যা রয়েছে। কিন্তু বেড পেতে অপেক্ষা করতে হয়। নতুন হাসপাতাল-গবেষণা কেন্দ্র তৈরি হয়ে গেলে সেই সমস্যার সুরাহা হবে বলেই আশাবাদী রাজ্য স্বাস্থ্যদফতর।