নয়াদিল্লি : দেশজুড়ে ক্রমেই বেড়ে চলেছে দূষণ।(Pollution )আর দূষণের হাত থেকে পরিবেশকে রক্ষা করতে মোদী সরকার যে চূড়ান্ত ব্যর্থ, তা প্রমাণ হয়ে গেল আরও একবার। দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত তহবিলের অপব্যবহারের জন্য কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রককে ভর্ৎসনা করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
Read More:পয়লা এপ্রিল থেকেই বাড়তে চলেছে ৭৪৮টি ওষুধের দাম
২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে দূষণ(Pollution )নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের জন্য মন্ত্রককে বরাদ্দ করা ৮৫৮ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ৭.২২ কোটি টাকা, অর্থাৎ তহবিলের ১ শতাংশেরও কম ব্যবহৃত হয়েছে বলে সংসদে পেশ করা কমিটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে! কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি মন্ত্রককে আত্মসমীক্ষা করতে বলেছে। মন্ত্রকের অকর্মণ্যতার জন্য হতাশাও প্রকাশ করেছে তারা।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1906977582861705617?s=19
স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “আমরা হতবাক হয়ে লক্ষ্য করেছি যে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বরাদ্দ ৮৫৮ কোটি টাকা, যা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক সংশোধিত অনুমান (আরই) বরাদ্দের ২৭.৪৪ শতাংশ, ২০২৫-২৬ পর্যন্ত দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের ধারাবাহিকতার অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকায় আর্থিক বছরের শেষ পর্যায়েও ব্যবহৃত হয়নি।”
যদিও মন্ত্রকের কর্মকর্তারা সাফাই দিয়ে বলেছেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে ধারাবাহিকতার অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকায় তহবিল ব্যবহৃত হয়নি। তবে গত দুটি আর্থিক বছরে এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা সম্পূর্ণ বাজেট ব্যবহৃত হয়েছে। যদিও এই যুক্তিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ স্থায়ী কমিটি। এই প্রসঙ্গে কমিটির রিপোর্ট বলেছে, যখন পরিবেশ মন্ত্রককে ক্রমশ দূষিত হওয়া বায়ুর গুণমানের গুরুতর এবং জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে, তখন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ধারাবাহিকতা রাখতে পারেনি মন্ত্রক। পাশাপাশি রিপোর্ট জানাচ্ছে, দূষণ মোকাবিলায় গুরুত্ব না দেওয়ার ফলেই এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত তহবিলের ১ শতাংশ এখনও ব্যবহৃত হয়নি। তাই কমিটি সুপারিশ করছে যে মন্ত্রককে আত্মপরীক্ষার মাধ্যমে এই মারাত্মক অপব্যবহারের কারণগুলি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।
উল্লেখ্য, দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পটি ২০১৮ সালে বায়ু, জল এবং শব্দদূষণ এবং দেশজুড়ে তাদের গুণমানের মাত্রা পর্যবেক্ষণের জন্য চালু করা হয়েছিল। এটি সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা অর্থায়িত এবং সরকারের প্রধান জাতীয় পরিচ্ছন্ন বায়ু কর্মসূচির (এনসিএপি) অংশ। এনসিএপির লক্ষ্য ২০২৬ সালের মধ্যে ১৩১টি শহরে পার্টিকুলেট ম্যাটার ১০ (পিএম১০) কমানো। পরিবেশ মন্ত্রক ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১,৭১২.৪৮ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। যা মোট বরাদ্দের
মাত্র ৫৪ শতাংশ।