পাটনা: ধর্মের নাম করে সংখ্যালঘুদের কোণঠাসা করার রাজনীতি বিজেপির বহুদিনের অভ্যাস। ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতির ছক বিভিন্ন রাজ্যে করে এসেছে গেরুয়া শিবির। তবে এবার আরো এক অন্য অভ্য আচরণ ধরা পড়েছে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে। বিহারের এই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কানহাইয়া কুমার পা রাখার পরেই গঙ্গাজল দিয়ে ধোয়া হচ্ছে গোটা মন্দির। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এখন খবর। ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় তুঙ্গে। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন তাহলে কি বিজেপি সমর্থকরাই পবিত্র আর বাকিরা অচ্ছুত?
চলতি বছরেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে রাজ্যজুড়ে ‘পলায়ন রোকো, নকরি দো’ যাত্রা শুরু করেছেন কানহাইয়া। সেই কর্মসূচিতেই বিহারের সহর্ষের বানগাঁও গ্রামের দুর্গা মন্দিরে সভা করতে গিয়েছিলেন কানহাইয়া। সেখানে সভা করতে গিয়ে বক্তৃতা দেন তিনি। দিন কয়েক আগের এই সভাকে কেন্দ্র করেই এখন বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে।
জানা গিয়েছে, কানহাইয়ার বক্তৃতা শেষ হতেই ওই মন্দির ধুতে শুরু করেন কয়েকজন। স্থানীয়দের দাবি, গঙ্গাজল দিয়ে মন্দির শুদ্ধ করা হয়েছে। মন্দির সংলগ্ন মাঠও ধুয়ে ফেলা হয়েছে। সেই ‘শুদ্ধিকরণে’র ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। তারপরেই বিজেপিকে তুলোধোনা শুরু করেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের মুখপাত্র জ্ঞানরঞ্জন গুপ্তা বলেন, “আমরা জানতে চাই, শুধু আরএসএস-বিজেপির সমর্থকরাই পবিত্র আর বাকিরা অচ্ছুৎ? বিহারের মন্দিরে যা হয়েছে, সেটা পরশুরামের উত্তরসূরিদের অপমান। আমরা জানতে চাই, এখন থেকে কি তাহলে অবিজেপি দল এবং তাদের সমর্থকদের অচ্ছুৎ হিসাবে বিচার করা হবে?” যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে কানহাইয়া কুমার নিজে কিছু বলেননি। আবার, বিজেপির মুখপাত্র অসিত নাথ তিওয়ারি বলেন, কানহাইয়ার পদার্পণের পর যদি কোনও মন্দির ধোয়া হয়ে থাকে তার অর্থ মানুষ তাঁর রাজনৈতিক আদর্শকেই ছুড়ে ফেলেছেন। যদিও তিনি এই ভিডিওর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।