লন্ডন: প্রতীক্ষার অবসান করে অবশেষে বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ডের কেলগ কলেজে বক্তৃতা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের তথা বাংলার গৌরবের কাহিনী লন্ডনের মাটিতে তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘সামাজিক উন্নয়ন- বালিকা, শিশু এবং নারীর ক্ষমতায়ন’ বিষয়ে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে সর্বধর্ম সমন্বয়ের ছবিও এঁকে দিলেন মমতা। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল ”ভাগাভাগি করা সহজ, ঐক্য ধরে রাখা কঠিন।”
মমতার ভাষণে উঠে আসে বাংলার সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা। শ্রীরামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, তাঁদের শিক্ষার কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মর্মে তিনি বলেন, ”বাংলার মাটি বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের মাটি। এখানে ভিনরাজ্যের বাসিন্দারা এসে থাকেন, এটাই তাঁদের ঘর হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন ভাষায় তাঁরা কথা বলেন। কেউ বলেন, জল, কেউ ওয়াটার, কেউ আবার পানি। আমি বলি, আমরা ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক – কারও মধ্যে কোনও ভাগ করি না। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্য কাজ করে আমাদের সরকার। আমি নিজেকে শুধু মানুষ বলতেই ভালোবাসি। একটা কথা জানবেন, ভাগাভাগি করা সহজ, কিন্তু একতা ধরে রাখাটা কঠিন। বলা হয়, ডিভাইড ওই ফল। এটাই আসল কথা।”
এদিনের বক্তব্যে তিনি রাজ্যের সর্বধর্ম সমন্বয়ের কথা তুলে ধরে বলেন, ”মানবিকতা ছাড়া পৃথিবী চলে না।” তিনি আরও বলেন, ”বাংলায় মোট জনসংখ্যা ১১ কোটি। তার মধ্যে ৩৩ শতাংশ সংখ্যালঘু। মানে মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, আদিবাসী। ২৩ শতাংশ তফসিলি উপজাতির মানুষ। আমরা সব ধর্ম, জাতি নির্বিশেষে সবাই সবাইকে ভালোবাসি। সকলের জন্য কাজ করি।”