ওয়াশিংটন: দ্বিতীয় বার প্রসিডেন্ট পদে বিরাজমান হয়েই তাঁ্র শুল্কনীতি নিয়ে পদক্ষেপ এখন বহুল চর্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতি(Tarrif Policy)সারা বিশ্বের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। শেয়ার বাজারেও দেখা যাচ্ছে তার প্রভাব। এর মধ্যেই আবার আমদানি করা সমস্ত রকমের গাড়ির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপালেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিছুদিনের জন্য নয়, এই শুল্ক পাকাপাকিভাবেই লাগু করা হয়েছে বলে জানান ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২ এপ্রিল থেকে এই নতুন শুল্কনীতি কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। নয়া শুল্কনীতিতে বিপদে পড়তে পারে ভারতের টাটা মোটর্স কিংবা রয়্যাল এনফিল্ড-এর নির্মাতা আইশার মোটর্সের মতো আরও বেশকিছু সংস্থাও।
Read More: হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথি উপলক্ষ্যে মতুয়া সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর
২০২৪ অর্থবর্ষে ভারত প্রায় ২১.২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের গাড়ির যন্ত্রাংশ রফতানি করেছে, ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ১৮,১৯৩ কোটির কাছাকাছি। এর মধ্যে ইউরোপ এবং আমেরিকায় রফতানির পরিমাণ প্রচুর। তাই ভারতের টাটা মোটর্স, আইশার মোটর্স, সোনা বিএলডব্লিউ এবং সংবর্ধনা মাদারসনের মতো গাড়ি এবং গাড়ির যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির উপর ট্রাম্পের শুল্কনীতির সরাসরি প্রভাব পড়তে চলেছে।

আবার, টাটা মোটর্সের সঙ্গে আমেরিকার সরাসরি রফতানি-সম্পর্ক নেই। তবে টাটার সহযোগী প্রতিষ্ঠান জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার আমেরিকার বাজারে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রয়েছে। জাগুয়ার ল্যান্ড রোভারের চলতি অর্থবর্ষের রিপোর্ট অনুসারে, আমেরিকা তাদের মোট বিক্রয়ের ২২ শতাংশের জন্য দায়ী। জানা যাচ্ছে, চলতি অর্থবর্ষে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪০০,০০০টি গাড়ি বিক্রি করেছে জেএলআর, যার মধ্যে ক্রেতার সংখ্যার নিরিখে আমেরিকা অন্যতম শীর্ষস্থানে রয়েছে। তাদের আমেরিকায় বিক্রি হওয়া গাড়িগুলি মূলত ব্রিটেন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক কারখানায় তৈরি করা হয়, যার সবই এখন ২৫ শতাংশ শুল্কের আওতায় থাকবে
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1905194819556884971?s=19
বিপাকে পড়তে চলেছে ভারত ফোর্জ, সানসেরা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, সুপ্রজিৎ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বালকৃষ্ণ ইন্ডাস্ট্রিসের মতো সংস্থাও। এমনকি, মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার সকালেই ভারতীয় এই সংস্থাগুলির শেয়ারদর এক ধাক্কায় ৫ থেকে ৭ শতাংশেরও বেশি মুখ থুবড়ে পড়েছে। এই সংস্থাগুলি সাধারণত ইউরোপ, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং চিনে গাড়ির যন্ত্রাংশ রফতানি করে থাকে, যেখান থেকে আমেরিকায় গাড়ি সরবরাহ করা হয়। অন্যদিকে, ট্রাম্পের শুল্কনীতির প্রভাব পড়বে রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেলের নির্মাতা আইশার মোটর্সের উপরেও। ট্রাম্পের ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার সকালে আইশারের শেয়ার দর ১ শতাংশ পড়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতি(Tarrif Policy)ঘোষণার পরই মার্কিন কোষাগারে প্রতি বছরে ঢুকবে অতিরিক্ত ১০ হাজার কোটি ডলার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই সিদ্ধান্তের পর আরও জানান, ‘এই শুল্ক নীতির ফলে আমেরিকার অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এতটাই হবে, যা কল্পনাতীত। কিন্তু কেউ যদি আমেরিকাতেই গাড়ি নির্মাণ করেন, তাহলে কোনও শুল্ক দিতে লাগবে না।’