লন্ডন : এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্পনীতির ভূয়সী প্রশংসায় মুখর হল লন্ডনের শিল্পমহলও। (British Industrialist)শিল্পপতিরা জানালেন, মমতার আমলে প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে বাংলার বুকে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় যা অনেক বেশি। মঙ্গলবার ইউকেআইবিসি-র চেয়ারম্যান রিচার্ড হেল্ড থেকে শুরু করে অ্যালান ক্যাম্বেল, বাংলার শিল্প পরিবেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন প্রত্যেকেই। তাঁরা প্রশংসা করলেন বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনেরও।
Read More: বার্ধক্যভাতা না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন, হাসপাতালেই হাজির নবান্নের কর্তৃপক্ষ
রিচার্ড হেল্ডের কথায়, দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলার উন্নয়নের হার বেশি। ব্যবসার ডিজিটালাইজেশন হয়েছে এখানে। শিল্পবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের প্রশংসা করে তিনি জানান, ২০১৯ সালে তিনি নিজে মউ স্বাক্ষর করেন। ২০২০, ২০২৩-এও ইউকে-র সঙ্গে মউ স্বাক্ষর হয়। রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে কাজ করতে বিশেষ আগ্রহী তিনি।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1904829218326004181?s=19
পাশাপাশি, বাংলার শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের কথা জানান হেল্ড। বলেন, ইউকে-র সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলছে এখানে। নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি, টেকনো ইন্ডিয়ার মতো প্রতিষ্ঠান চলছে। ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম মেধা ও সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে উৎসাহী। এদিন ২০১৭ সালের স্মৃতি উঠে এল তাঁর কথায়। ইডেনে বাংলা-ইংল্যান্ডের খেলা চলাকালীন তাঁকে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন থেকেই বাংলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গভীর। বঙ্গের ভৌগোলিক অবস্থানের গুরুত্ব ব্রিটিশ শিল্পপতিদের কাছে তুলে ধরেন হেল্ড। বাংলাকে ‘উত্তর-পূর্বের দরজা’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলায় নির্মাণশিল্প-সহ একাধিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছে ব্রিটেনের অনেক বাণিজ্য সংস্থা।(British Industrialist)অ্যালান ক্যাম্বেল বলেন, “বাংলায় শিল্প গড়ার মতো পরিবেশ রয়েছে। অনেক বিদেশি কোম্পানি বাংলায় কাজ করছে। আমরাও এখানে শিল্প গড়ার কথা দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিল্পমন্ত্রী ও রাজ্য প্রশাসন যথেষ্ট সাহায্য করে। অত্যন্ত দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে বাংলায়। সরকার সর্বদা সাপোর্ট করে। তাই বাংলা শিল্পে লগ্নি করার আদর্শ জায়গা। ব্রিটেনের বিনিয়োগকারীরা লগ্নিতে আগ্রহী।”