প্রতিবেদন : আজকের বাংলা বদলের বাংলা। আজকের বাংলা শিল্প বিনিয়োগের আদর্শ পরিবেশ। এখানে এলে ক্ষতির আশঙ্কা নেই, বরং লাভের পথে এগিয়ে যাওয়া যাবে কয়েকধাপ। মঙ্গলবার লন্ডনে মুখ্যমন্ত্রীর(Chief Minister)উপস্থিতিতে শিল্প বৈঠকে সেকথাই বারবার বললেন বাংলার শিল্পপতি সত্যম রায়চৌধুরী, হর্ষবর্ধন নেওটিয়া, কে কে বাঙ্গুর সহ একাধিক শিল্পপতিরা। লন্ডনের মাটিতে একাধিক শিল্পপতির মুখে বাংলার জয়গান।
Read More: প্রথম এলে জ্বালানিতে ছাড়! লন্ডন থেকে কলকাতা সরাসরি বিমান নিয়ে সুর চড়া করলেন মমতা
অম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান হর্ষবর্ধন নেওটিয়া বলেন, ”বাংলায় শিল্প বিনিয়োগের জন্য তিনটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, এখানে মুখ্যমন্ত্রী(Chief Minister)মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যে বিশ্বাসী। এখানে মানুষ অত্যন্ত নিরাপদ বোধ করেন। মুখ্যমন্ত্রী রাস্তা, বিদ্যুৎ, বন্দর, জল সরবরাহের মতো পরিষেবার অনেক উন্নতি করেছেন। কলকাতায় আসুন, বিনিয়োগ করুন। এখানকার অর্থনৈতিক পরিবেশ খুব ভালো।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1904841723945377897?s=19
শিল্পপতি সত্যম রায়চৌধুরী বলেন, “২০১৭ সালে আমরা সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কথা ভাবি। মুখ্যমন্ত্রীকে বলি ২০২১ সালে। সে বছরের ২৯ নভেম্বর তিনি বিধানসভায় বিল পাশ করিয়ে দেন। পরের বছর জানুয়ারি মাসে নেতাজির ১৫০ তম জন্মবার্ষিকীতে আমরা স্পোর্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলি। এখন সেটা প্রায় তৈরি। সরকারের সঙ্গে আমাদের শুধুমাত্র একটা ফোনকলের দূরত্ব। বাংলা বোঝে বাণিজ্য। মুখ্যমন্ত্রী সবসময় আমাদের সাহায্য করেন।”
লন্ডনের শিল্প সম্মেলনে আরপি-সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান শাশ্বত গোয়েঙ্কার বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী শিল্প বিস্তারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। যে কোনও তাঁকে দরকারে পাওয়া যায়। দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন, এটা খুবই জরুরি। আমলা, প্রশাসনও শিল্পবান্ধব। আপনারাও আসুন বাংলায়, বুঝতে পারবেন এখানকার সুবিধা কত।”
বাংলার শিল্পপতি কে কে বাঙ্গুর বলেন, “বাংলায় আমাদের সর্ববৃহৎ প্ল্যান্টটি রয়েছে। এখানে আমরা গত ১৬ বছর ধরে ব্যবসা করছি। সাম্প্রতিককালে আমরা বাংলায় প্রচুর বিনিয়োগ করেছি। শুধু তাই নয়, কর্নাটক থেকে একটি অপারেশন সেন্টার বাংলায় স্থানান্তর করেছি। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলা এখন শিল্প-বাণিজ্যের জন্য আদর্শ। তাই বাংলায় বিনিয়োগ করুন”।
আবার মেহুল মোহাঙ্কা বলেন, “আমার বাবা বাংলায় ব্যবসা শুরু করেন। আমিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় সেই ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। এখন আমাদের কোম্পানি চারটি মহাদেশে ব্যবসা করে। বাংলায় আমাদের তিনটি প্ল্যান্ট রয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কখনও আমি শ্রমিক আন্দোলনে শ্রমদিবস নষ্টের সমস্যা হয়নি। বাংলাই এখন বিনিয়োগের আদর্শ জায়গা। তাই আজ আমি ঘোষণা করছি, ৩০০ কোটির লগ্নি করে কল্যাণীতে কারখানা করব। উপকৃত হবেন ৫০০ পরিবার”।