নয়াদিল্লি : ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’। ক্ষমতায় আসার পরেই মোদী সরকারের আত্মপ্রচারের অন্যতম হাতিয়ার এই কথাটি। আদৌ কতটা বিকাশের আলো দেখেছে দেশ? ভারতের সংবিধানে দেশকে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতান্ত্রিক আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মোদীর সাধের ‘আত্মনির্ভর’ ভারতের ক্ষেত্রে এই বিশেষণগুলি একটিও ব্যবহার করা যায় কি? সুইডিশ ইনস্টিটিউট ভ্যারাইটিজ অব ডেমোক্রেসি (ভি-ডেম)-র(V DEM )সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে দেখা দিয়েছে তেমনই সংশয়।
Read More: পঞ্চায়েত এলাকার পর এবার আগামী ৫ বছরেই শহরবাসীদের জন্য ‘বাংলার বাড়ি’, নয়া সিদ্ধান্ত নবান্নের
বিগত ২০১৭ সাল থেকে ভারত ‘ইলেক্টরাল অটোক্রেসি’ বা ‘নির্বাচন সত্ত্বেও স্বৈরতন্ত্র’ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে উক্ত সংস্থা। অর্থাৎ, দেশে নির্বাচন হলেও গণতন্ত্রের মূল উপাদান যেমন, ব্যক্তি স্বাধীনতা, আইনের শাসন এবং ক্ষমতার ভারসাম্য নেই অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভি-ডেমের ডেমোক্রেসি রিপোর্ট ২০২৫ অনুসারে, বিশ্বের ১৭৯টি রাষ্ট্রের মধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেসি ইনডেক্সে (উদারনৈতিক গণতন্ত্র সূচক) ভারত নেমে এসেছে ১০০ নম্বরে। যা ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং নির্বাচনের নিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে দুর্বলতার পরিচায়ক। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ইলেক্টরাল ডেমোক্রেসি ইনডেক্সেও (নির্বাচনী গণতন্ত্র সূচক) ভারত ১০৫ তম স্থানে নেমে গিয়েছে। যা নির্বাচনের স্বচ্ছতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংগঠনের অধিকারের মতো বিষয়ে পিছিয়ে পড়ার আভাস দিচ্ছে।

পাশাপাশি, ভারতীয় সমাজে ক্ষমতা ও সম্পদের সমবণ্টন নিয়ে গুরুতর সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছে ভি-ডেম।(V DEM )এক্ষেত্রে তাদের ইগালিটারিয়ান কম্পোনেন্ট ইনডেক্স বা সমতার সূচকে ভারতের স্থান হয়েছে ১৩৪ নম্বরে। ভারতে গণতন্ত্রের অবনতির নেপথ্যে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে ভি-ডেমের রিপোর্টে। প্রথমত, মতপ্রকাশ, সংবাদমাধ্যম, এবং সুশীল সমাজের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ বেড়েছে। দ্বিতীয়ত, কোপ পড়েছে বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনের মতো স্বাধীন প্রতিষ্ঠানের স্বায়ত্তশাসনে। তৃতীয়ত, নির্বাচনের স্বচ্ছতা-নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্নের সূত্রপাতকেও গণতন্ত্রের অবক্ষয়ের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। এর সঙ্গে রয়েছে ধর্মীয় ও সামাজিক মেরুকরণ, ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ ও বিরোধীদের উপর অত্যাচারের বৃদ্ধির বিষয়গুলিও।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1904102595083595818?s=19