নয়াদিল্লি : খোদ মোদী সরকারের অধীনস্থ একাধিক চা-বাগানেই(Tea Garden)প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চা-শ্রমিকরা। একথা স্বীকার করে নিল কেন্দ্র। রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জিতিন প্রসাদ জানিয়েছেন, কেন্দ্রের অধীনস্থ ‘অ্যান্ড্রু ইউল অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড’-এর চা বিভাগের আর্থিক সংকটের কারণে বানারহাট, কারবালা, নিউ ডুয়ার্স এবং চুনাভাটি টি এস্টেটের শ্রমিকদের মজুরি দিতে ৫ থেকে ৬ সপ্তাহ দেরি হচ্ছে। সংকট ঠিক কী, তার মূল কারণ, বিস্তারিত তথ্য এবং সেই সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদী সমাধান অবশ্য দিতে পারেননি তিনি। তবে মেনে নিয়েছেন বকেয়ার কথা।
Read More: আইপিএলের ৯টি ম্যাচের দিন যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ, বিকল্প রাস্তার পরামর্শ কলকাতা পুলিশের
শুক্রবার ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যসভায় চা শ্রমিকদের দুরবস্থার বিষয়টি তুলে ধরেন। জানতে চান, চা-বাগানের(Tea Garden )শ্রমিকদের মজুরি দিতে বিলম্ব হচ্ছে কেন? সাপ্তাহিক মজুরি কয়েক সপ্তাহ পিছিয়ে যাওয়ার কারণ কী? বানারহাট, কারবালা, নিউ ডুয়ার্স এবং চুনাভুটি টি এস্টেটের শ্রমিকদের দুর্দশার কথা উত্থাপন করেন ঋতব্রত। এই চারটি চা-বাগান কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন ‘অ্যান্ড্রু ইউল অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড’-এর আওতাভুক্ত। গত এক বছর ধরে শ্রমিকদের মজুরি কেন অনিয়মিতভাবে দেওয়া হচ্ছে? এই বিলম্বের কারণ কী? কেন্দ্রীয় সরকার কী পদক্ষেপ করছে এই বিষয়ে? প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইএনটিটিইউসির রাজ্য সভাপতি।

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতিন প্রসাদ চা-বাগানের শ্রমিকদের অনিয়মিত মজুরির বিষয়টি স্বীকার করে নেন। কারণ হিসেবে প্রাথমিকভাবে তিনি জানিয়েছেন, যে সংস্থার আওতায় এই চারটি বাগান রয়েছে অর্থাৎ সেই অ্যান্ড্রু ইউল অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডে আর্থিক সংকট চলছে। তাই মজুরি দিতে দেরি হচ্ছে। তবে এই সংকটের বিস্তারিত কারণ, সমস্যার সুরাহা নিয়ে কিছুই বলতে পারেননি মন্ত্রী। বরং জানান, এখনও বের করা যায়নি স্থায়ী সমাধানের কোনও পথ।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1903365835302879248?s=19
উল্লেখ্য, ধারাবাহিকভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের অবহেলা এবং আর্থিক অব্যবস্থাপনার কারণে ভুগছেন চা-শ্রমিকরা। এ নিয়ে একাধিকবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি কিছুই। চা-বলয়ের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছে রাজ্যই। চা-শ্রমিকদের জন্য ‘চা সুন্দরী’ সহ বেশ কিছু জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।