নয়াদিল্লি : ধর্মীয় মেরুকরণের সঙ্গে বিজেপির গলায়-গলায় মিত্রতার কাহিনী ভারতীয় রাজনীতির আঙিনায় অজানা নয় একেবারেই। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজনৈতিক স্বার্থে বারবারই তাদের আস্তিন থেকে সুকৌশলে ধর্মের তাস বের করেছে মোদী সরকার। দেশজুড়ে মাথাচাড়া দিয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদ। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে হিন্দুত্বের জিগির তুলে বাংলা দখলের মরিয়া চেষ্টা করেছিল বিজেপি। তাতে লাভ হয়নি কিছুই। এবার ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2026)আগেও সেই একই নোংরা খেলায় নামতে চলেছে তারা।
Read More: বিধ্বস্ত মণিপুরের জন্য বরাদ্দ ২ মিনিট! রাজ্যসভায় শাহের দু’ঘণ্টার ভাষণে অবহেলিত বাংলাও
বঙ্গে পদ্ম-নেতৃত্বের একাংশ মেনেই নিচ্ছেন যে, বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2026)আর মাত্র এক বছরের মধ্যে রাজ্যে দলের সাংগঠনিক স্তরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন কিছু হবে না। ফলত হিন্দুত্বের পালে হাওয়া দিয়ে ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলতে তৎপর তারা। এক্ষেত্রে রামনবমীকেই হাতিয়ার করছে বঙ্গ বিজেপি। শুক্রবার সংসদ ভবন চত্বরে সংবাদ সংস্থাকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার জানান, সব ক্রিয়ারই একটি সমান এবং বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া আছে। নিউটনের তৃতীয় সূত্র মেনেই দুনিয়া চলছে। কারও কিছু করার নেই।

পাশাপাশি সুকান্ত বলেন, রামনবমীতে যদি হিন্দুদের উপর কোনও ঘটনা ঘটে, তাহলে তারা ‘রিঅ্যাকশন’ দেবেই। বাংলায় রামনবমী পালন ইস্যুতে সরব হয়েছেন বিজেপির আর এক এমপি রবি কিষাণও। শুক্রবার সংসদ ভবন চত্বরে তিনি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, “তৃণমূল কংগ্রেস বুঝে গিয়েছে যে রাজ্যে তারা আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই একাধিক বিতর্ক তৈরি করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু মহাকুম্ভ দেখিয়ে দিয়েছে যে, সনাতনীরা জাগছেন। তাঁদের মধ্যে বাংলার সনাতনীরাও আছেন। ভুলে গেলে চলবে না।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1903495900263285011?s=19
বিজেপির এহেন মন্তব্যের তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছে তৃণমূল। “বাংলায় সম্প্রীতির সংস্কৃতি রয়েছে। বাংলার মানুষ জানেন যে সেই সম্প্রীতি কীভাবে রক্ষা করতে হয়। যাঁরা এই সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত নন, তাঁরা ধর্ম নিয়ে এসব বলে বাজার গরম করতে পারেন কিংবা আত্মশ্লাঘা বোধ করতে পারেন। তাতে বাংলার মানুষের কিছু যায় আসে না”, জানিয়েছেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।