প্রতিবেদন : বড় সিদ্ধান্তের পথে হাঁটলেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে সবার। আমেরিকার শিক্ষা দফতর (Education Department)পুরোপুরি বাতিল করতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এবার থেকে পড়ুয়াদের শিক্ষার দায়িত্ব থাকবে প্রাদেশিক সরকারগুলির হাতে। এর ফলে মার্কিন শিক্ষা দফতর বলে আর কোনও কিছুর অস্তিত্ব থাকবে না!
Read More:আইপিএলের ম্যাচের দিনগুলিতে চলবে বিশেষ বাস, জানাল রাজ্য পরিবহন দফতর
২১ মার্চ, বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে উপস্থিত ছিলেন বহু পড়ুয়ারা। তাদের মধ্যে বসেই নতুন নির্দেশিকায় সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সই করার পরে হাসিমুখে সেই আদেশ তুলে ধরেন পড়ুয়াদের সামনে। পরে জানান, “আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা দফতর(Education Department)পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাক। আগে যেমন শিক্ষার দায়িত্ব নিত প্রাদেশিক সরকারগুলি, আবারও সেরকম ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চাই।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, এই পদক্ষেপে ফলে উন্নতি হবে আমেরিকার শিক্ষাব্যবস্থার। আমেরিকার থেকে চীন এবং ইউরোপের শিক্ষাব্যবস্থা অনেক এগিয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বিগত ১৯৭৯ সালের প্রতিষ্ঠিত হয় আমেরিকার শিক্ষা দফতর। মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন না পেলে এই দফতর পুরোপুরি বাতিল করা যায় না। কিন্তু ট্রাম্পের নতুন নির্দেশের ফলে আপাতত শিক্ষার অনুদান এবং শিক্ষাকর্মীদের বেতন বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে শিক্ষাসচিব লিন্ডা ম্যাকমোহনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দফতর বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। প্রাদেশিক সরকারগুলির হাতে দ্রুত শিক্ষা সংক্রান্ত দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ট্রাম্প যেভাবে খরচ কমাতে উঠেপড়ে লেগেছেন, শিক্ষা দফতরের উপর তারই কোপ পড়ল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1903126864392228879?s=19
স্বাভাবিকভাবেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা। বিরোধিতার ঝড় উঠেছে শিক্ষামহলেও। দেশজুড়ে স্কুলগুলির খরচের ১৩ শতাংশ বহন করে মার্কিন শিক্ষা দফতর। আপাতদৃষ্টিতে সেরকম গুরুত্বপূর্ণ না হলেও আর্থিকভাবে দুর্বল স্কুলগুলির জন্য এই অনুদান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিশেষভাবে সক্ষমদের স্কুলগুলিও অনেকটা নির্ভর করে মার্কিন শিক্ষা দফতরের অনুদানের উপর। কিন্তু বৃহস্পতিবারের পর থেকে সেই অনুদানও পাকাপাকিভাবে বন্ধ হতে চলেছে।