নয়াদিল্লি: বাংলায় ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলীয় রণনীতি সাজাতে চাইছে পদ্ম শিবির।(Bengal Bjp) কিন্তু প্রচেষ্টা যতই করা হোক আদতে ফল্প্রসূ হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। নবীন-প্রবীণের দ্বন্দ্ব বিজেপির অন্দরে নতুন কোনো বিষয় নয় তবে এখন এই দ্বন্দ্ব ঠিক কোথায় কিভাবে ছড়িয়েছে তা টের পাওয়া মুশকিল। সম্প্রতি তারই আঁচ মিলল সোমবার বিজেপির সমন্বয় বৈঠকে। এই বৈঠককে কেন্দ্র করে হাট-বাজারে পরিণত হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দিল্লির বাসভবন।
বৈঠকের শুরুতেই দক্ষিণবঙ্গের এক সাংসদ পরবর্তী রাজ্য সভাপতি হিসাবে দিলীপ ঘোষ এর নাম প্রস্তাব করেন। এর পরেই বিজেপির(Bengal Bjp) সমন্বয়ে বৈঠক জুড়ে শুরু হয় হট্টগোল। দিলীপ ঘোষ এর নাম উঠতেই রীতিমতো রে রে করে ওঠেন শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদাররা। এরপরেই শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। বাদানুবাদ এমন পর্যায়ে যায় যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দিল্লির বাসভবন হাট-বাজারে পরিণত হয়। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারকে আরও এক বছর সভাপতি রেখে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল তোলেন দক্ষিণ বঙ্গের আরেক সাংসদ।
Read More: রেলমন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে সংসদে প্রতিবাদের ঝড় তুলল তৃণমূল, সরব উভয় কক্ষের সাংসদরা
বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে ছাব্বিশের নির্বাচন পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদারকে রেখে দেওয়া হতে পারে বলে গেরুয়া শিবিরের একটি মহলের খবর। আবার অন্য একটি মহল বলছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্য সভাপতি পদে সুকান্তকে হয়তো রাখা হবে না, সেক্ষেত্রে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে বঙ্গ বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব আবার দেওয়া হতে পারে। কিছুদিনের মধ্যেই এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বিজেপি।

তবে দলের একাংশের মতে, এই মুহুর্তে রাজ্য সভাপতি বদল করলে পদ্মশিবিরের স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে পারে। তাই সুকান্তকে রেখে দেওয়ার কথাও ভাবা হয়েছে। দলের গোষ্ঠীকোন্দল চলছে। এমন কাউকে রাজ্য সভাপতি পদে বসানো হল, তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তবে সংঘ যাঁর নামে শিলমোহর দেবে তাঁকেই রাজ্য সভাপতি পদে বসানো হবে।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1901952535197302927
আবার দিল্লির একাংশের মতে, শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার এই দুই জুটিকে আপাতত রেখে ছাব্বিশের ভোট পর্যন্ত চালিয়ে দেওয়া হোক। নতুন রাজ্য সভাপতির দৌড়ে নাম রয়েছে শমীক ভট্টাচার্য, দেবশ্রী চৌধুরি, অগ্নিমিত্রা পালের। তবে ছাব্বিশের ভোটকে মাথায় রেখে দলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে চাইছেন দিল্লির বিজেপি নেতারা। সেক্ষেত্রে সুকান্তকে রেখে দেওয়ার পক্ষে বড় অংশ। আবার তা না হলে সংঘের অন্যতম পছন্দ দিলীপ ঘোষ।
উল্লেখ্য, এসবের মাঝেই আবার এদিন বৈঠকের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরেছেন শুভেন্দু। যা নিয়ে জল্পনা আরও বেড়েছে। আবার অন্যদিকে রাজ্য সভাপতি নির্বাচন হওয়ার আগে বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ ঘোষের সক্রিয়তা বৃদ্ধি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।