কলকাতা : ‘ভূতুড়ে’ ভোট ইস্যুতে বিজেপিকে প্রবল চাপে ফেলেছে তৃণমূল।(TMC )ইতিমধ্যে ঘাসফুল শিবিরের দাবি মেনে নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। তবে এর মধ্যেই দানা বাঁধল নতুন বিতর্ক। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) পদ থেকে অবসর নিয়েছেন আরিজ আফতাব। তারপর আড়াই মাস কেটে গেলেও নির্বাচন কমিশন এখনও সিইও পদে কাউকে নিয়োগ করেনি। আর তা নিয়েই বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনকে একহাত নিল তৃণমূল।
Read More: পুর-এলাকায় ২ লক্ষেরও বেশি ‘বাংলার বাড়ি’, পরিকল্পনা মুখ্যমন্ত্রীর
ঘটনার পিছনে বিজেপির চক্রান্ত দেখছে ঘাসফুল(TMC )নেতৃত্ব। কারণ নিয়ম অনুযায়ী, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পদের জন্য রাজ্য সরকারকে এক বা একাধিক নামের প্যানেল পাঠাতে হয়। সেই তালিকা থেকে একজনকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসাবে বেছে নেয় নির্বাচন কমিশন। এখনও পর্যন্ত দু’বার নবান্ন থেকে তালিকা গিয়েছে। কিন্তু ওই দু’বারই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নামের তালিকা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর থেকেই প্রত্যেক জেলায় ভুয়ো ভোটার ধরতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বঙ্গ বিজেপির ইশারাতেই রাজ্য সরকারের পাঠানো নামের তালিকায় বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপির পক্ষ থেকেও কয়েকটি নাম পাঠানো হয়েছে। এপ্রসঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষে বিঁধেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। “মোদী সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশনের মতো নিরপেক্ষ সংস্থাও বিজেপির শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তাই দিল্লি, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানার মতো কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের সাহায্যে ভোটার তালিকায় ভূতুড়ে ভোটারের নাম ঢুকিয়ে ওরা ভোটে জিতেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওদের চুরিটা ধরে ফেলেছে”, বক্তব্য তাঁর।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1902038625489174930?s=19