কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University)দেওয়ালে ‘আজাদ কাশ্মীর’ স্লোগানকে ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। ছাত্র আন্দোলনের নেপথ্যে চলছে বিচ্ছিন্নতাবাদী স্লোগান। দেশদ্রোহীদের স্লোগান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়ালে! এহেন বিতর্কের জেরে সোমবার বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। এবার এই পরিস্থিতিকেই খতিয়ে দেখে সামাল দিতে তৎপর হয়েছে কলকাতা পুলিশ। এই ইস্যু নিয়ে মামলা রুজু করে শুরু করা হয়েছে তদন্ত।
Read More: বিজেপিশাসিত গুজরাটে ‘নরবলি’! মন্দিরের পাশ থেকে উদ্ধার ৫ বছরের শিশুর গলাকাটা দেহ
সূত্রের খবর, ছাত্র আন্দোলনের অছিলায় ভারতকে অশান্ত করতে মদত জোগাচ্ছে বহিঃশত্রুরা। ‘আজাদ কাশ্মীর’, মুক্ত প্যালেস্তাইন-এর মতো স্লোগান দেখা গিয়েছে ক্যাম্পাসের দেওয়ালে। এহেন অবস্থায় দেশদ্রোহীরা যাতে কোনোভাবেই ঘাঁটি না তৈরি করতে পারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে(Jadavpur University) সে জন্যই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৫২/৬১ বি ধারা অর্থাৎ বিচ্ছিন্নতাবাদ, হিংসা ও নাশকতার ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এই মামলা প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের(Jadavpur University)তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি কিশলয় রায় বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা একাজ করেছে তাঁরা মানসিকভাবে অসুস্থ। পুলিশের গোটা ভূমিকার প্রশংসা করছি।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1899479224089809210?s=19
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের(Jadavpur University)এসএফআই-এর লোকাল কমিটির সম্পাদক শৌর্যদীপ্ত রায় বলেন,”আমি মনে করি আজাদ কাশ্মীর বলা মানে সার্বভৌমত্বের উপর আক্রমণ। এটা বারবার বলা মানে অন্যান্য দাবিগুলো ছোট করা। কাশ্মীর নিয়ে যদি আমাদের দাবির কথা বলা হয়, বলব ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনা হোক। আর রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা প্রসঙ্গে বলব, এটা যারা করেছে আশা করা যায় তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়েরই পড়ুয়া। তাই তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই মিটিয়ে নেওয়া যেত। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করাটা সমাধান নয় বলেই মনে করি। পুলিশের মানুষকে বোঝানো উচিত কেন এই ধরনের কিছু লেখা উচিত নয়”।